চীন
কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ক্ষমা চাইলেন বাইদু’র জনসংযোগ প্রধান
কর্মীদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় ও তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন চীনের সর্ববৃহৎ সার্চ ইঞ্জিন বাইদু’র জনসংযোগ বিভাগের প্রধান কিউ জিং। কর্মীদের কড়া ভাষায় হুমকি দিয়ে বানানো তার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, টিকটকের চীনা ভার্সন ‘দাউইন’ এ পরপর কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করেন কিউ জিং। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, আপনি যদি জনসংযোগ বিভাগে কাজ করেন, তাহলে সপ্তাহ শেষে ছুটির আশা বাদ দিন। আপনার মোবাইল ফোনটি ২৪ ঘণ্টা চালু রাখুন ও যেকোনো সময় প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত থাকুন। জিং এও জানিয়েছিলেন যে, তিনি তার কাজে এতটাই আচ্ছন্ন থাকেন যে, তার ছেলে কোন ক্লাসে পড়ে তাই-ই জানেন না।
আরও পড়ুন:
- চীনে হাসপাতালে হামলায় হতাহত ১০
- মেক্সিকোয় পণ্য বানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করছে চীন
- চিপ রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা, চীনের চরম অসন্তোষ
- চীনকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি
তিনি আরও বলেন, কর্মীদের ভালোমন্দ দেখাটা আমার দায়িত্ব নয়, কারণ আমি তাদের মা নয়। এছাড়া তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তার অব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগ জানানো কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। এমনকি, অভিযোগকারীদের কাউকে ভবিষ্যতে এই খাতে চাকরি হতে দেবেন না বলেও হুমকি দেন।
কিউ জিংয়ের এসব ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর চীনের নেটদুনিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। পরিস্থিতিতে এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে, ভিডিওগুলো সরিয়ে নিতে বাধ্য হন জিং। বুধবার (৮ মে) চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাটে তিনি লেখেন, পোস্টগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর আমার মন্তব্যগুলো নিয়ে যেসব সমালোচনা হয়েছে, তা খুবই প্রাসঙ্গিক। আমি গভীরভাবে ভেবে দেখলাম, সমালোচনাগুলো যৌক্তিক ও আমি সেগুলোকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছি।
আরও পড়ুন:
- যুক্তরাষ্ট্রের আরও ফ্লাইট বাতিল করলো চীন, ক্ষুব্ধ বাইডেন প্রশাসন
- চীন থেকে দূতাবাস কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- তাইওয়ান ইস্যুতে ‘সামরিক সংঘাতে’ জড়াতে পারে যুক্তরাষ্ট্র-চীন
- নতুন উত্তেজনায় চীন-যুক্তরাষ্ট্র
ক্ষমাপ্রার্থনায় তিনি বলেন, তার ভিডিওগুলো বাইদু’র প্রতিনিধিত্ব করে না ও সেগুলো পোস্ট করার আগে তিনি কোম্পানির সম্মতি চাননি। আমি দুঃখিত যে ‘অনুপযুক্ত’ ভিডিওগুলো আমার কোম্পানির মূল্যবোধ ও চীনের করপোরেট সংস্কৃতি সম্পর্কে ভুল ধারণা দিচ্ছে।
তিনি লেখেন, আমি আমার ভুল থেকে শিখব ও আমার যোগাযোগের ধরনে উন্নতি আনবো। সেই সঙ্গে আমার সহকর্মীদের প্রতি আরও যত্নশীল আচরণ করবো।
এদিকে, জিংয়ের এই কাণ্ড নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি বাইদু কর্তৃপক্ষ। তবে বিবিসি বলছে, কিউ জিংয়ের এমন আচরণ চীনের প্রযুক্তিখাতে কর্মরত ব্যক্তিরা চরম শোষণের শিকার হন, তার প্রমাণ বহন করে।
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ