পশ্চিমবঙ্গে মহাসমারোহে উদযাপিত হলো পঁচিশে বৈশাখ
পশ্চিমবঙ্গজুড়ে মহাসমারোহে উদযাপিত হলো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মজয়ন্তী। এ উপলক্ষে বুধবার (৮ মে) শান্তিনিকেতনের গৌড় প্রাঙ্গণে পঁচিশে বৈশাখের ঐতিহ্য মেনে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সকাল থেকেই বিশ্বভারতীর রবীন্দ্র ভবনে কবিকণ্ঠে শোনানো হয় গান। পঁচিশে বৈশাখ উপলক্ষে শান্তিনিকেতনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যসহ বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন>>
- অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি পশ্চিমবঙ্গে
- পশ্চিমবঙ্গে ঝড়-বজ্রপাতে ৭ জনের মৃত্যু
- পশ্চিমবঙ্গে টানটান উত্তেজনায় শেষ হলো তৃতীয় দফার নির্বাচন
শুধু শান্তিনিকেতনেই নয়, কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে উদযাপন করা হয়েছে পঁচিশে বৈশাখ। কলকাতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জোড়াসাঁকোর বাড়িতে সকাল থেকেই চলে নানা অনুষ্ঠান। নৃত্য, আবৃত্তি, সমবেত সংগীত ছাড়াও একক রবীন্দ্রসংগীতের মধ্যে দিয়ে উদযাপন করা হয় দিনটি।
সকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রভাতফেরি সহকারে রবি ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উদযাপন করেছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন।
কলকাতার বরাহনগর কে সি কলেজের সামনে থেকে যতীন দাশনগর পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন>>
- পশ্চিমবঙ্গে নেই লোডশেডিং, তীব্র গরমে ঘরে স্বস্তিতে রাজ্যবাসী
- এবার হেলিকপ্টারে বসতে গিয়ে পড়ে গেলেন মমতা
- কলকাতায় ধুমধামে উদযাপিত হলো পহেলা বৈশাখ
পঁচিশে বৈশাখ উপলক্ষে সুজন চক্রবর্তী বলেন, আজকের এই দিনটি উদযাপন করা আমাদের কর্তব্য। ভবিষ্যৎ চিন্তা-চেতনার জন্য এটি জরুরি। মানুষের কাজ, গণতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই, পল্লীসমাজ, সংস্কৃতি প্রায় কিছুতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
পঁচিশে বৈশাখ উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী রাজ্যের সচিবালয় নবান্নে কবিগুরুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ-কালের গণ্ডি পেরিয়ে আজও আমাদের আনন্দ-বেদনায়, আশা- নিরশায়, সংকট-সাফল্যে, তিনিই পরম আত্মীয়।
রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম এক্সে কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, রবীন্দ্রনাথের সহিষ্ণু প্রজ্ঞা এবং প্রতিভা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অসংখ্য মানুষকে অনুপ্রাণিত ও আলোকিত করতে থাকবে।
ডিডি/কেএএ/