স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বোবা ছেলেকে কুমিরের মুখে ফেললেন নারী
পারিবারিক কলহের জেরে মানুষ এমন অনেক কিছুই করে বসেন, পরে যার জন্য আফসোস করতে হয়। কিন্তু তাই বলে রাগের বশে নিজের সন্তানকে কুমিরভরা জলাশয়ে ফেলে দেবেন কেউ? হ্যাঁ, ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের হালামাদি গ্রামে এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার (৪ মে) স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার পর ছয় বছর বয়সী বাক প্রতিবন্ধী ছেলেকে কুমিরে ভরা একটি খালে ফেলে দেন সাবিত্রি নামক এক নারী। পরের দিন ওই শিশুর অর্ধেক খেয়ে ফেলা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
- পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচন, রাজনৈতিক দলের প্রতীক ছাপা জিনিসপত্র কেনাকাটায় হিড়িক
- সোনা কিনতে দুবাই ছুটছেন ভারতীয়রা
- ভারতে আবারও স্কুলে বোমা হামলার হুমকি, শহরজুড়ে আতঙ্ক
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩২ বছর বয়সী সাবিত্রী মানুষের বাড়িতে কাজ করেন। তার স্বামী রবি কুমার (৩৬) পেশায় রাজমিস্ত্রি। তাদের দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলের নাম বিনোদ কুমার। বোবা ও বধির বিনোদকে নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই সাবিত্রির সঙ্গে ঝামেলা করতেন রবি। এমনকি, স্ত্রী-সন্তানকে মারধরও করতেন তিনি।
সাবিত্রী পুলিশকে জানান, সন্তান বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার স্বামী তাকে ও তার সন্তানকে নিয়ে অনেক আজেবাজে কথা বলতেন। তাছাড়া ছেলেকে খালে ফেলে দিয়ে মেরে ফেলতে বলতেন তিনি। শনিবারও (৪ মে) ছেলেকে নিয়ে ঝগড়া হওয়ার পর সাবিত্রী তার ছেলেকে উত্তর কন্নড় জেলার একটি খালে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেন, যেখানে কুমিরের বসবাস রয়েছে।
আরও পড়ুন:
- দিল্লির ১০০ স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি!
- স্কুলে দেরি করে আসায় শিক্ষিকাকে পেটালেন অধ্যক্ষ, ভিডিও ভাইরাল
- গরমে ছায়া দিতে রাস্তায় রাস্তায় সবুজ শামিয়ানা!
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফায়ারসার্ভিসের লোকজনের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও খালে তল্লাশি শুরু করেন। রাতভর তল্লাশি চলতে থাকে ও রোববার (৫ মে) সকালে শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়। তার ডান হাত ছিল না ও সারা শরীরে কামড়ের চিহ্ন ছিল, যার মাধ্যমে বোঝা যায় যে শিশুটি কুমিরের আক্রমণে মারা গেছে।
ওই নারী বলেন, এই ঘটনার জন্য আমার স্বামী দায়ী। তিনি যদি সবসময় আমার ছেলেকে বলতে থাকেন যে, ও শুধু বসে বসে খায়। এমন ছেলে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়ায় ভালো। প্রতিদিনই যদি তিনি বিষয়টি নিয়ে আমাদের ওপর অত্যাচার করেন, তাহলে আমি কী করবো? আমার ছেলেও বা আর কত অত্যাচার সহ্য করবে? আমি কোথায় যাবো? আমার কষ্টটা একবার বোঝার চেষ্টা করে দেখুন।
সূত্র: এনডিটিভি
এসএএইচ