থাইল্যান্ডে ৫২ ডিগ্রি ছাড়ালো হিট ইনডেক্স, বিদ্যুৎ চাহিদায় রেকর্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২১ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
ছবি: এএফপি

তীব্র গরমে পুড়ছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড। গত কয়েকদিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে দেশটির বেশ কিছু এলাকায়। আগামী দিনগুলোতে সেখানে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।

থাইল্যান্ডে সাধারণত বছরের সবচেয়ে উত্তপ্ত মাস থাকে এপ্রিল। কিন্তু এবারের এপ্রিলে দেশটির অন্তত ৩৬টি জেলায় রেকর্ডভাঙা তাপমাত্রা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে কিছু রেকর্ড ছিল ৬৬ বছরের পুরোনো।

আরও পড়ুন>>

থাই আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, এ মাসে দেশটির ২৬টি প্রদেশে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে।

এর মধ্যে উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ ল্যাম্পাংয়ে এ বছরের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এটি থাইল্যান্ডের সর্বকালের রেকর্ড ৪৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থেকে সামান্য একটু কম। ২০১৬ ও ২০২৩ সালে দেখা গিয়েছিল ওই তাপমাত্রা।

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে দেশটিতে নতুন রেকর্ড গড়েছে বিদ্যুতের চাহিদাও। সরকারি তথ্যমতে, গত সোমবার (২৯ এপ্রিল) থাইল্যান্ডে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৩৬ হাজার ৬৯৯ মেগাওয়াট, যা নতুন সর্বোচ্চ রেকর্ড। এ নিয়ে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয়বার বিদ্যুতের চাহিদার নতুন রেকর্ড তৈরি হলো দেশটিতে।

আরও পড়ুন>>

থাই আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবারও দেশটির বেশিরভাগ অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হতে পারে।

তবে রাজধানী ব্যাংককে হিট ইনডেক্স থাকতে পারে ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে, যা ‘খুবই বিপজ্জনক’। তাপমাত্রার সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতার প্রভাব বিবেচনায় নিলে মানবদেহে যে তাপমাত্রা অনুভব করার (ফিলস লাইক) সম্ভাবনা/আশঙ্কা থাকে, সেটিকেই হিট ইনডেক্স ধরা হয়।

আবহাওয়ার ভয়ংকর এই পরিস্থিতির কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষজনকে ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে থাই কর্তৃপক্ষ।

গত সপ্তাহেই স্থানীয় জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, চলতি বছর থাইল্যান্ডে তাপজনিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩০টিতে দাঁড়িয়েছে।

সূত্র: ব্লুমবার্গ
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।