ভারত

বাতাসেই ভেঙে পড়লো নির্মাণাধীন সেতু!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:০৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
বাতাসে ভেঙে পড়েছে সেতু। ছবি: সংগৃহীত

রাতে একটু ঝড়ো বাতাস বয়েছে, আর তাতেই ধসে পড়েছে আট বছর ধরে নির্মাণাধীন থাকা একটি সেতু। আর তা থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন অর্ধ-শতাধিক মানুষ। সময়টা একটু এদিক-ওদিক হলেই ধসে পড়া কংক্রিটের নিচে চাপা পড়তেন তারা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের পেদ্দাপল্লী জেলায় ঘটেছে এই দুর্ঘটনা।

আরও পড়ুন>>

এদিন স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে নির্মাণাধীন সেতুটির দুটি কংক্রিটের গার্ডার প্রবল বাতাসের কারণে ভেঙে পড়ে। প্রায় ১০০ মিটার দূরত্বে থাকা দুটি পিলারের ওপর আরও তিনটি গার্ডার রয়েছে। সেগুলোও যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

সিরিকোন্ডা বাক্কা রাও নামে এক বাসিন্দা বলেন, সৌভাগ্যক্রমে, সেতু ধসে পড়ার মাত্র এক মিনিট আগে সেখান দিয়ে একটি বাসে করে ৬৫ জনের বরযাত্রী গিয়েছিল। আরেকটু হলে তারা কংক্রিটের নিচে চাপা পড়তো।

মানাইর নদীর ওপর প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। তেলঙ্গানা বিধানসভার তৎকালীন স্পিকার এস মধুসুধন চারি এবং স্থানীয় বিধায়ক পুত্তা মধু এটি উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল প্রায় ৪৯ কোটি রুপি।

সেতুটি ভূপালপল্লির টেকুমাতলা মণ্ডলের গারমিল্লাপল্লু ও পেদ্দাপল্লির ওদেদেদুকে সংযুক্ত করবে। এর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল এক বছরের মধ্যে। কিন্তু, কমিশনের চাপে এবং সরকার বকেয়া পরিশোধ না করার অভিযোগে বছর দুয়েকের মাথায় ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দেন।

আরও পড়ুন>>

সিরিকোন্ডা বাক্কা রাও জানান, এই ঠিকাদারই ভেমুলওয়াদায় একটি সেতু নির্মাণ করেছিলেন, যেটি ২০২১ সালে ভারী বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল।

মানাইর নদীর ওপর সেতুটির নির্মাণকাজ পরের আট বছরেও শেষ না হওয়ায় এর নিচে দিয়ে মাটির রাস্তা তৈরি করে ব্যবহার করছেন গ্রামবাসীরা।

সন্দীপ রাও নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, প্রকল্পের খরচ বাড়ানো হয়েছে। ৬০ শতাংশ কাজ শেষ না হওয়া সত্ত্বেও গত বছর আনুমানিক খরচের সঙ্গে আরও ১১ কোটি রুপি যোগ করা হয়েছিল।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।