শিক্ষা বিভাগের ২৫ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
পশ্চিমবঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) দুর্নীতি মামলায় বড় রায় দিলেন কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৬ সালে এসএসসির সব নিয়োগ অথাৎ পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মোহাম্মদ শাব্বর রশিদি। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে শুনানি চলার পর সোমবার (২২ এপ্রিল) এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক-শিক্ষিকা, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ফলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মোহাম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রায়ের ফলে, ২৪ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়ে গেলো।
আরও পড়ুন:
- মালদ্বীপের সংসদ নির্বাচনে বড় জয়ের পথে ‘ভারতবিরোধী’ মুইজ্জুর দল
- পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই: রাজনাথ সিং
- কলকাতার তাপমাত্রা ছাড়ালো ৪১ ডিগ্রি
এদিকে, সবার চাকরি বাতিল হলেও একজনের চাকরি থাকছে। সোমা দাস নামের এক নারী ক্যান্সারে আক্রান্ত। মানবিক কারণে তার চাকরি বাতিল করেননি কলকাতা হাইকোর্ট।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মোহাম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছেন, এসএসসির প্যানেলের মেয়াদ শেষের পরে যারা চাকরি পেয়েছেন, তাদের জনগণের টাকা থেকে বেতন দেওয়া হয়েছে। ৪ সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ সুদসহ সেই বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, শিক্ষক নিয়োগ নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে যে তদন্ত সিবিআই করছে, তা চলবে।
ভারতের ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন চলছে। এই নির্বাচনে পরেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টে। উত্তরপত্র যাতে জনগণ দেখতে পান সেই ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে। যে সব উত্তরপত্র এখনো ওয়েবসাইটে আপলোড হয়নি, সেগুলো দ্রুত আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন:
- পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
- অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
স্কুল সার্ভিস কমিশন বলেছে, রায়ের কপি যতক্ষণ না আমাদের হাতে এসে পৌঁছাচ্ছে, ততক্ষণ আমরা এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাবো।
পশ্চিমবঙ্গের মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যসহ শিক্ষা দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা কারাদণ্ড পেয়েছেন।
ডিডি/এসএএইচ