কলকাতার তাপমাত্রা ছাড়ালো ৪১ ডিগ্রি
গত কয়েক বছরে কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গের বেশকিছু জেলায় এমন তীব্র তাপমাত্রা দেখা যায়নি। দিন যতই যাচ্ছে, ততই যেন বাড়ছে সূর্যের তেজ। কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস সত্যি করে দাবদাহের পারদ ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে।
রোববার (২১ এপ্রিল) কলকাতায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি ছিল। এদিনে শহরটির তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে ঠেকে। আর ফিলস লাইক তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ ৩৯ থেকে ৮৭ শতাংশ।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রোববার পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, ঝারগ্রাম,পশ্চিম বর্ধমান ,বীরভূম ,পানাগর ও পুরুলিয়ায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মাথা-মুখে পানি ঢালছেন কলকাতার তীব্র গরমে অতিষ্ট এক ট্যাক্সিচালক
এদিন পানাগর ও বাঁকুড়ার তাপমাত্রা এতটাই বেশি ছিল, যে অনেকের দাবি গত ৫০ বছরেরও এমন গরম দেখা যায়নি। রোববার দিনের বেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝারগ্রামের তাপমাত্রা ৪৪.৭ ডিগ্ৰি ও পানাগড়ে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যায়।
আবহাওয়া দপ্তরের পরিচালক সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, এমন অবস্থা আগামী সাত দিনেও কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে তাপপ্রবাহের মধ্যেই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলোতে স্বস্তির বৃষ্টি হতে পারে। বজ্পাতসহ বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মেদিনীপুর, বীরভূম, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। তবে বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা যে খুব একটা কমবে এমন আশ্বাস দেয়নি আবহাওয়া দপ্তর।
চিকিৎসকরা বলছেন, প্রচন্ড গরমের এই সময়ে সব কাজ সকাল ১০টার মধ্যে সেরে ফেলা উচিত। বিশেষ কোনো কাজ না থাকলে ঘরের থেকে বের না হওয়ায় ভালো। একান্ত জরুরি কোনো কাজে বাইরে বেরোলেও ফুলহাতা জামা, ছাতা, চোখে কালো চশমা পরতে হবে। মাথা-মুখ-নাক সুতির কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে ও অবশ্যই সঙ্গে লবন-চিনি মেশানো পানি অথবা ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস সঙ্গে রাখতে হবে।
তারা আরও বলছেন, গরমে একদমই খালি পায়ে হাঁটা যাবে না। বাজারে কেটে বিক্রি করা ফল খাওয়া যাবে না। তবে বাড়িতে তরমুজ, পেঁপে- এই ধরনের ফল বেশি করে খেতে হবে। বারবার চোখে মুখে শীতল পানির ছিটিয়ে নিতে হবে।
রাস্তায় বের হলে ঠান্ডা পানিতে রুমাল ভিজিয়ে মুখ, গলাও ঘাড় মুছতে হবে। তাছাড়া হিট স্টোকের জন্যও সতর্ক থাকতে হবে। মাথা ঘুরানো, বমি-বমি ভাব, মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রণা, ঝিমঝিম ভাব দেখা দিলেই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডিডি/এসএএইচ