এবার তৈরি হচ্ছে এআই শিশু!
প্রথমে বান্ধবী ও পোষা প্রাণীর এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) সংস্করণ এসেছিল। এবার এআই শিশু সৃষ্টি করেছেন চীনের গবেষকরা! বেইজিং ইনস্টিটিউট ফর জেনারেল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সেই ভার্চুয়াল চাইল্ড তৈরি করেছে। এটি যেমন স্বাভাবিক সংলাপ চালিয়ে যেতে পারে, তেমনি কনটেক্সট বা প্রেক্ষাপট বুঝতে এবং সংলাপের সময়ে সামঞ্জস্যও বজায় রাখতে পারে।
বলতে পারেন, চ্যাটজিপিটি-ও তো এসব কাজ করতে পারে। কিন্তু চীনের তৈরি টং টং’র বৈশিষ্ট্য হলো, সে শিখতে, মানিয়ে নিতে এবং নিজের ভার্চুয়াল পরিবেশের সঙ্গে ভাবের আদানপ্রদান করতে পারে। এমনকি মানুষের আবেগ শনাক্ত করে প্রতিক্রিয়াও দেখাতে পারে।
আরও পড়ুন>>
- প্রথমবার ড্রোন প্রতিযোগিতায় মানব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দিলো এআই
- এআই মডেলের মাসে আয় ৪ লাখ টাকা
- প্রেমিকা মিলিয়ে দিলো চ্যাটজিপিটি, অবশেষে বিয়ে
এক পরীক্ষায় টং টং’র সহজ কিছু ক্ষমতার পরিচয় পাওয়া গেছে। যেমন- পড়ে যাওয়া তরল পরিষ্কার, বেঁকে যাওয়া ছবির ফ্রেম ঠিক করা কিংবা উঁচু জায়গায় চেয়ার নিয়ে যাওয়া তার জন্য কোনো সমস্যাই নয়। মানুষের নির্দেশ ছাড়াই স্বতন্ত্রভাবে এসব কাজ করতে পারে এটি।
— CodingNerds COG (@CodingnerdsCog) February 6, 2024
Tong Tong is a virtual AI entity that can assign herself tasks, learn autonomously, and explore her environment.
She can display behavior and abilities similar to those of a three or four-year-old child… pic.twitter.com/SoZpKLegwY
কোনো একদিন সে হয়তো আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স বা এজিআই আয়ত্ত্ব করবে বলে আশা করছেন এর নির্মাতারা। অর্থাৎ সেই এআই শিশুর মধ্যে মানুষের সব বৈশিষ্ট্য থাকবে। যেমন- স্বতন্ত্রভাবে কগনিশন বা জ্ঞান গ্রহণ করা, সিদ্ধান্ত নেওয়া, সামাজিক স্তরে ভাবের আদানপ্রদান ও আবেগ প্রদর্শন।
কিন্তু সেটিকে শিশু হিসেবে তুলে ধরা কেন?
ডেভেলপারদের মতে, পুরোপুরি উন্নত এজিআই যদি কোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মতো হয়, তাহলে টং টং’র ক্ষমতা চার বছর বয়সী শিশুর সঙ্গে তুলনীয়। তাছাড়া, মানুষ অতিবুদ্ধিমান এআই শুনলে ভয় পায়, কিন্তু শিশুদের ভালোবাসে।
আরও পড়ুন>>
- টেক্সট লিখলেই ভিডিও তৈরি করে দেবে এআই
- হাতের লেখাও নকল করছে এআই
- এআই নিয়ন্ত্রণে একমত যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৮ দেশ
প্রথমদিকে এআই শিশু একটু অদ্ভুত লাগতে পারে বটে, কিন্তু যাদের নিজস্ব সন্তান পাওয়ার উপায় নেই, তাদের জন্য সেটি একটি পথ হতে পারে। অথবা যে বাবা-মায়েরা সন্তান হারিয়েছেন, তারা হয়তো এভাবে শোকের মাত্রা কিছুটা কমাতে পারেন। যথেষ্ট তথ্য থাকলে তারা হয়তো হারানো শিশুর ডিজিটাল সত্ত্বাও সৃষ্টি করতে পারেন।
কিন্তু এক্ষেত্রে এআইর ভুলত্রুটি থেকে সুরক্ষার কথাও ভাবতে হবে। যেমন- আপনার এআই শিশু আচমকা নিজের ব্যক্তিত্ব বদলে ফেললে কেমন লাগবে? অথবা সে পুরোপুরি কাজ বন্ধ করে দিলেও আপনার আবেগ বড় ধাক্কা খেতে পারে। তাছাড়া স্বাধীনভাবে চিন্তা ও আবেগ সৃষ্টি করতে সক্ষম কোনো এআইর সঙ্গে সম্পর্কের বন্ধন গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও নানা প্রশ্ন উঠে আসে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
কেএএ/