প্রেস টিভির দাবি
কুয়েত-কাতারের মার্কিন ঘাঁটি থেকে ইরানের ওপর হামলা নিষিদ্ধ
কুয়েত ও কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি এবং দেশ দুটির আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া চলবে না। মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির জেরে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুয়েত ও কাতারের সরকার। বিষয়টি এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েও দিয়েছে তারা। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন প্রেস টিভি এবং রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ এ তথ্য জানিয়েছে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি ভূখণ্ডে সরাসরি হামলা চালায় ইরান। তার আগেই কুয়েত-কাতার জানিয়ে দিয়েছিল, তাদের দেশে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি থেকে ইরানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন>>
- ইসরায়েলে হামলার নিন্দা জানালেন বাইডেন
- আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে ইসরায়েলে হামলা হতো না: ট্রাম্প
- আমরা ইরানের সঙ্গে সংঘাত চাই না: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী
কুয়েতের আলী আল সালেম বিমানঘাঁটি এবং আহমেদ আল জাবের বিমানঘাঁটিতে মার্কিন বাহিনীর সামরিক বিমান রয়েছে। অন্যদিকে, কাতারের আল উদেইদ বিমানঘাঁটি হলো পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি।
গত ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলায় দুই জেনারেলসহ ১৩ জন নিহত হন। এর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল ইরান। অবশেষে শনিবার রাতে প্রতিশ্রুত সেই হামলা চালায় তেহরান। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েকশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে তারা।
আরও পড়ুন>>
যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই বলে এসেছে, ইরান আক্রমণ করলে ইসরায়েলকে ‘লৌহবর্মের’ মতো সমর্থন দিয়ে যাবে তারা। শনিবার ইরানের হামলা শুরু হলেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেসময়ও ইসরায়েলের প্রতি তার অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা জানান তিনি।
ইরান অবশ্য হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এটি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার বিষয়। যুক্তরাষ্ট্র যেন এ নিয়ে নাক না গলায়। তা না হলে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হতে পারে।
কেএএ/