ইসরায়েলে কর্মরতদের ওপর ভ্রমণ সতর্কতা যুক্তরাষ্ট্রের
ইরানের হামলার শঙ্কায় ইসরায়েলে কর্মরত নিজ দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জানায়, অধিকতর সতর্কতার অংশ হিসেবে দূতাবাস কর্মীদের জেরুজালেমের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>
- ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলের মাটিতে হামলা করতে পারে ইরান
- ইরানের প্রতিশোধের আশঙ্কায় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা
১১ দিন আগে সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলায় ১৩ জন নিহত হন। ইরান এর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড ক্যামেরন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করে বিষয়টিকে আর বেশিদূর গড়াতে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসরায়েল অবশ্য কনস্যুলেটে হামলার দায় স্বীকার করেনি। কিন্তু ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারাই এর নেপথ্যে ছিল।
কনস্যুলেটে হামলায় বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা প্রাণ হারান। তাদের মধ্যে কুদস্ ফোর্সের একজন সিনিয়র কমান্ডার ছিলেন। সিরিয়া ও লেবাননে বাহিনীর কার্যক্রম দেখভাল করতেন তিনি।
এর আগে বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে বলেন, ইরানের দিক থেকে তীব্র আক্রমণের হুমকি আছে। হামলা থেকে রক্ষায় ইসরায়েলকে ‘আয়রনক্ল্যাড’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় কমান্ডার এরিক কুরিল্লার নেতৃত্বে। তিনি এরই মধ্যে নিরাপত্তা হুমকি নিয়ে কথা বলতে ইসরায়েল সফরে গেছেন।
পেন্টাগন বলছে, সফরটি পূর্ব নির্ধারিতই ছিল। কিন্তু, সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের কারণে এগিয়ে আনা হয়েছে।
এদিকে পাল্টা আঘাতটা কী ধরনের হবে সেটা যেমন পরিষ্কার নয়, হামলা সরাসরি ইরানের দিক থেকেই আসবে নাকি কোনো প্রক্সির মধ্য দিয়ে আসবে সেটিও নিশ্চিত নয়।
রোববার ইরানের কর্মকর্তাদের একজন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইসরায়েলে দূতাবাসগুলো আর নিরাপদ নয়।
যা থেকে একটা অনুমান দাঁড় করানো যায় যে, হয়তো কোনো কনস্যুলেট ভবনই সম্ভাব্য লক্ষ্য হবে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলাপে বলেছেন, ইসরায়েলি ভূখণ্ডে সরাসরি কোনো ইরানি আক্রমণ হলে তার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের বিরুদ্ধে যথাযথ জবাব দেবে ইসরায়েল।
সূত্র: বিবিসি
এমএসএম