পিকে হালদারের পরবর্তী শুনানি ২২ এপ্রিল

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:৫৫ এএম, ০৭ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে ভারতে দায়ের করা মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ এপ্রিল ধার্য হয়েছে। পিকে হালদারসহ ৬ সহযোগী আসামির মামলায় শনিবার ৬ এপ্রিল ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তীর উদ্দেশ্যে বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশ কি বলেছে? ওদের নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে কি বাংলাদেশ? ওরা যদি সবাই বাংলাদেশি হয়, তাহলে কিভাবে জামিন হবে? আর জামিন হলে ভারতে থাকবে কিভাবে? বিচারকের এই মন্তব্যে মামলায় নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) পিকে হালদারসহ বাকি ৬ অভিযুক্তকে কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের সিবিআই-১ কক্ষে বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে তোলা হয়। অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবী মিলন মুখার্জি বলেন, কেন প্রাণেশ হালদার সিএএ করবে। সে তো প্রথম থেকেই ভারতীয় নাগরিক হওয়ার জন্য যা যা নথি প্রয়োজন তা আদালতে জমা দিয়েছে। ফলে তারা ভারতীয়। আর একান্তই যদি তাদের বাংলাদেশি প্রমান করা হয় তবে কেন ফরেনার্স অ্যাক্ট দেওয়া হয়নি? আর আমরা তো অন্য কিছু দাবি করিনি, আমরা শুধু জামিন চেয়েছি।

ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, বর্তমান মামলাটি তো অবৈধ পাচারের। সেখানে ফরেনার্স অ্যাক্ট বিষয়টি আসে কি করে?

বাদি ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারপতি প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, দুবছর হয়ে গেল এখনো এই মামলার ট্রায়াল শুরু করতে পারলেন না। তাহলে মামলা কি করে এগোবে। এরপর বিচারপতি অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী মিলন মুখার্জীর উদ্দেশে বলেন, ইডি যে তথ্য দেখাচ্ছে তাতে পিকে হালদাররা সবাই বাংলাদেশি। তাহলে কিভাবে জামিন হবে? সেক্ষেত্রে জামিন হলে এদেশে তো রাখা যাবে না।

পাশাপাশি বিচারক ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তীকে বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখুন বাংলাদেশ এদের নিতে আগ্রহী কিনা। এই প্রশ্নের উত্তর ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, এখন আমাদের কাছে এ ধরনের কোন তথ্য নেই। ইডির পক্ষের আইনজীবির এই বক্তব্য শোনার পর বিচারক প্রসন্ন মুখার্জি পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ২২ এপ্রিল বিকেল ৩টায় ধার্য করেন।

যদি অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর করা হয় তাহলে তাদের কি হবে এই প্রশ্নের উত্তরে ইডি আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, এ মামলায় জামিন হলে একটাই উপায় তা হলো পুশব্যাক, এছাড়া বিকল্পের কিছু নেই।

২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজ, বোর্ড হাউস ১৫, গ্রিনটেক সিটি থেকে পিকে হালদারকে গ্রেফতার করে ভারতের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পিকে হালদারের ৫ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন:

বর্তমানে পিকে হালদারসহ ৫ পুরুষ অভিযুক্ত রয়েছে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে, অন্যদিকে এই মামলার একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর নারী সংশোধনাগারে।

ডিডি/টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।