জুলাইয়ের মধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে স্পেন
চলতি বছরের জুলাই মাসের মধ্যে ফিলিস্তিনিকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে স্পেন। পাশাপাশি ইউরোপের এই দেশটি দখলদার ইসরায়েলকেও রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আরব দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাবে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) নিজের সঙ্গে জর্ডান সফরে যাওয়া সাংবাদিকদের এ কথা জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ।
সানচেজের এই মন্তব্য এমন সময়ে এলো, যখন জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) দূত রিয়াদ মনসুর সোমবার (১ এপ্রিল) রয়টার্সকে জানান, পূর্ণ সদস্যতার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আবেদন করার পরিকল্পনা করেছে পিএ।
স্পেনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইএফই ও সংবাদপত্র এল পাইসসহ লা ভ্যানগার্ডিয়া বলছে, ফিলিস্তিনিকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোকেও রাজি করানোর চেষ্টা করছে স্প্যানিশ সরকার। স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস, তারা যখন ফিলিস্তিনকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেবে, তখন ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোও তাদের দেখানো পথে এগোবে।
এরই মধ্যে স্লোভেনিয়া, মাল্টা ও আয়ারল্যান্ড স্পেনের আহ্বানে সম্মতি জানিয়েছে। গত ২২ মার্চ এক যৌথ বিবৃতিতে এই চারটি দেশ জানায়, যখন উপযুক্ত সময় আসবে, ঠিক তখনই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে তারা।
এপ্রিলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে থাকবে মাল্টা। জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ভেনেসা ফ্রেজিয়ার জানিয়েছেন, তিনি এখনো ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পূর্ণ সদস্যতার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পাননি।
এদিকে, স্পেনের নেতৃত্বে ইউরোপের আরও তিনটি দেশের ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ইসরায়েলের নেতানিয়াহু প্রশাসন। তাদের দাবি, এই মুহূর্তে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে, ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের’ হাতে কাঙ্ক্ষিত পুরস্কার তুলে দেওয়া।
ধারণা করা হচ্ছে, নভেম্বরে হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি গতি পেতে পারে। তবে মধ্যপ্রাচ্য ও ইসলামিক দেশগুলো ফিলিস্তিনিকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিলেও ইউরোপের বেশিরভাগ দেশই দেয়নি। ১৯৮৮ সাল থেকে, জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৩৯টি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
এসএএইচ