অরুণাচলের ৩০ জায়গার নাম বদলে দিলো চীন, ক্ষুব্ধ ভারত
সীমান্ত নিয়ে চীন-ভারত বিরোধ নতুন কিছু নয়। তবে সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে উভয় দেশে মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। নয়াদিল্লি যতই বারবার বলেছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, চীন ততবারই প্রদেশটিকে নিজেদের দাবি করেছে। তারই ধারিবাহিকতায় অরুণাচলের ৩০টি জায়গার নতুন নামকরণ করেছে বেইজিং। এমনকি, ১ মে থেকে এই নতুন নামগুলো কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছে চীন।
সোমবার (১ এপ্রিল) অরুণাচলের ৩০টি অঞ্চলের নাম নিজেদের মতো করে প্রকাশ করে চীন। এ নিয়ে চতুর্থ দফায় প্রদেশটির বিভিন্ন এলাকার চীনা নাম প্রকাশ করলো দেশটি।
নতুন তালিকায় ১২টি আবাসিক এলাকা, ১১টি পাহাড়, চারটি নদী, একটি সুড়ঙ্গ ও দুটি খালি এলাকা রয়েছে। চীনের বেসামরিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই তালিকা প্রকাশ করে জানানো হয়েছে সামনের মাসের প্রথম দিন থেকেই এসব নাম কার্যকর হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
- অরুণাচল নিয়ে ভারত-চীনের মধ্যে উত্তেজনা থামছে না
- বিশ্বের দীর্ঘতম দুই লেনের টানেল উদ্বোধন করলেন মোদী
- অরুণাচলকে নিজেদের দাবি চীনের, ভারতের প্রতিবাদ
এদিকে, বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই চরম ক্ষুব্ধ করেছে ভারতকে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সাফ কথা, আপনার বাড়ির নতুন নাম দিলে, বাড়িটা কি আমার হয়ে যাবে? এসব নামকরণ করে কোনো লাভ নেই। অরুণাচল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে ও থাকবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নির্বোধের মতো কাজ করেছে চীন। নতুন নামকরণ করলেও বাস্তবতা বদলে যাবে না। অরুণাচল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে আর থাকবে। বেইজিংয়ের নতুন এই নামকরণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
অরুণাচলকে চীন নিজেদের রাজ্য ‘জ্যাংনান’ হিসেবে দাবি করে। বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে তাদের দীর্ঘ দিনের বিবাদ চলে আসছে। এর আগে ২০১৭ সালে প্রথমবার অরুণাচলের ছয়টি স্থানের চীনা নাম প্রকাশ করা হয়। পরে ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় ১৫টি আর ২০২৩ সালে তৃতীয় দফায় আরও ১১টি স্থানের নামের তালিকা প্রকাশ করে চীন।
আরও পড়ুন:
- মালদ্বীপ সংকট : ভারত মহাসাগরে ১১ যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন চীনের
- যুদ্ধের জন্য আমরা সবসময় প্রস্তুত: ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
- মালদ্বীপের কাছাকাছি নৌঘাঁটি গড়বে ভারত
সম্প্রতি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই রাজ্যে দুটি দীর্ঘ টানেল উদ্বোধন করেন। টানেল দুটি সেনাবাহিনীর জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, টানেল উদ্বোধনের পর থেকেই বেইজিং অরুণাচল নিয়ে নতুন করে বিবাদ শুরু করে। এরপর থেকেই মূলত জ্যাংনান অর্থাৎ অরুণাচল নিজেদের অংশ বলে আন্তর্জাতিক মহলে প্রচার শুরু করে চীন।
সূত্র: এনডিটিভি
এসএএইচ