মস্কোয় ভয়াবহ হামলায় নিহত বেড়ে ১১৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:২৭ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২৪
শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে বন্দুক হামলায় নিহত এক ব্যক্তির মরদেহ বের করে আনছেন স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা/ ছবি: এএফপি

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর একটি সিটি হলে ভয়াবহ বন্দুক ও বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৫ জন হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৪০ জনেরও বেশি। মস্কোর গভর্নর আন্দ্রেই ভোরোবিভ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মস্কোর গভর্নর বলেন, ক্রোকাস সিটি হল নামক ওই ভবনে হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, আহত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ১৪০ জনেরও বেশি ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬ জনের অবস্থা ‘খুবই গুরুতর’। তাদের মধ্যে আবার একটি শিশুও রয়েছে।

আরও পড়ুন: 

রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে ৪৪ জনের অবস্থা ‘গুরুতর’ ও ১০৭ জন মস্কোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহত ও হাসপাতালে ভর্তি থাকা আহদের অবস্থান ও অবস্থা সম্পর্কে স্বজনরা যাতে সহজেই জানতে পারেন, সেজন্য একটি ফোন লাইনও খোলা হয়েছে।

নিহতদের স্মরণে শনিবার (২৩ মার্চ) ক্রোকাস সিটি হলের সামনে ফুল রেখে যান স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা/ ছবি: এএফপিনিহতদের স্মরণে শনিবার (২৩ মার্চ) ক্রোকাস সিটি হলের সামনে ফুল রেখে যান স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা/ ছবি: এএফপি

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে একটি ক্রোকাস সিটি হলের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় একদল অস্ত্রধারী। রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, পাঁচজন বন্দুকধারী এই হামলা চালায়। প্রথমে গুলিবর্ষণের পর সেখানে গ্রেনেড বা বোমা নিক্ষেপ করা হয়। তাতে হলটিতে আগুন ধরে যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ক্রোকাস সিটি শপিংমলের কনসার্ট হল, রেস্টুরেন্ট, একুরিয়াম ও বিয়ের অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় একযোগে এলোপাতাড়ি গুলি চালাচ্ছে একদল অস্ত্রধারী। পরে শপিংমলের বিভিন্ন জায়গায় বহু মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন: 

এদিকে, এ হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, মস্কোতে তাদের যোদ্ধারা হামলা চালিয়ে শতাধিক মানুষকে হতাহত করেছেন ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে যেতে পেরেছেন।

অন্যদিকে, ক্রেমলিন দাবি করেছে, এই হামলার ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের সঙ্গে ইউক্রেনের যোগাযোগ ছিল ও হামলার পর বন্দুকধারীরা ইউক্রেনেই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে এরই মধ্যে হামলায় জড়িত সন্দেহে ১১ জনকে আটক করেছে রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি)। সংস্থাটির দাবি, আটককৃতদের মধ্যে চারজন সরাসরি হামলায় জড়িত ছিলেন।

সূত্র: তাস, বিবিসি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।