লোকসভা নির্বাচন
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল শুরু
দোরগোড়ায় ভারতের হাইভোল্টেজ লোকসভা নির্বাচন। তফসিল ঘোষণার পর প্রচারণায় নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। ভোটারদের কাছে টানতে চলছে একের পর এক সভা-সমাবেশ। নির্বাচনী আবহে যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয়, তা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী।
পশ্চিমবঙ্গের মোট ৪২ লোকসভা আসনে এবার নির্বাচন হবে সাত দফায়। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে। এরপর ধাপে ধাপে বাকি আসনগুলোতে।
আরও পড়ুন>>
- পশ্চিমবঙ্গের ৪৩ আসনে ভোট হবে ৭ দফায়
- নির্বাচন ঘোষণা হতেই ডিজি-আইজিপিকে সরিয়ে দিলো কমিশন
- একই আসনে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়বেন সাবেক স্বামী-স্ত্রী
তার আগেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় টহল শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল, সেটি মাথায় রেখে আগেভাগেই রুট মার্চ শুরু করেছে তারা।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা রুট মার্চ করার সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের আশ্বস্ত করছে। ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবেন, সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে।
এবারের লোকসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন চলাকালীন কোনো ধরনের হিংসা, রক্তপাত যেন না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে স্পর্শকাতর এলাকাগুলো রুট মার্চের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা যেন আরও বাড়ে, সেই লক্ষ্যে চলছে জনসংযোগ।
আরও পড়ুন>>
- তফশিলের আগেই বিজেপির ১৯৫ প্রার্থীর নাম ঘোষণা
- প্রার্থী তালিকায় বড় চমক মমতা ব্যানার্জীর, নেই মিমি-নুসরাত
- মনোনয়ন নিয়ে ‘বিবাদ’, ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করলেন মমতা
এছাড়া, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় যেসব রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থক আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে, তাদের বাড়িতেও যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের জেলাগুলোতে এরই মধ্যে রুট মার্চ শুরু হয়ে গেছে। জলপাইগুড়ি,শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, কোচবিহারে জোরকদমে টহল চলছে। হাওড়া,হুগলি, পুরুলিয়া বীরভূমসহ কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় রুট মার্চ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
জাতীয় নির্বাচন কমিশন পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করতে কমিশন বদ্ধপরিকর। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার খবর আসলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ কারণে নির্বাচনের আগেই পশ্চিমবঙ্গজুড়ে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।
ডিডি/কেএএ/