যুক্তরাষ্ট্রে করোনার পর থেকে বিয়ের হার বেড়েছে, কমেছে বিচ্ছেদ
করোনাভাইরাস মহামারিজনিত লকডাউন উঠে যাওয়ার পর ২০২২ সালে রীতিমতো বিয়ের ধুম পড়েছিল সবখানে। ব্যতিক্রম নয় যুক্তরাষ্ট্রও। দেশটিতে করোনার পর বিয়ের হার যেমন বেড়েছে, তেমনি কমেছে বিচ্ছেদও।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথ স্ট্যাটিস্টিকসের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, মহামারির শুরুর দিকে দেশটিতে বিয়ের সংখ্যায় বড় ধস নেমেছিল। গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রে বিয়ের হার ছিল প্রতি এক হাজার জনে সাত থেকে আটটি।
২০২০ সালে তা মাত্র ৫ দশমিক ১-এ নেমে আসে। কিন্তু পরের বছরই সেই সংখ্যা বাড়তে শুরু করে এবং ২০২২ সাল নাগাদ বিয়ের হার দাঁড়ায় ৬ দশমিক ২। ওই বছর যুক্তরাষ্ট্রের বিয়ে হয়েছিল ২০ লাখেরও বেশি।
আরও পড়ুন>>
- ৯২ বছর বয়সে ৫ম বিয়ে করছেন ধনকুবের মারডক
- ১৫ বছরের কিশোরীকে বিয়ে করে শাস্তি পেলেন ৪০ বছরের যুবক
- বিয়ে করতে টিভি উপস্থাপককে অপহরণ করলেন তরুণী!
ওয়াশিংটন ডিসিতে নিবন্ধিত ম্যারেজ অ্যান্ড ফ্যামিলি থেরাপিস্ট মারিসা নেলসনের মতে, হতে পারে বিয়ের সময় পুনর্নির্ধারণের কারণেই এভাবে বিয়ে হার বেড়ে গিয়েছিল সে বছর।
তিনি বলেন, লকডাউনে একসঙ্গে থাকা অনেক দম্পতির জন্য প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলার এক অনন্য সুযোগ করে দিয়েছিল; যেমন- অর্থ, আপস ও স্বায়ত্তশাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তারা কীভাবে সামলাবে, সে সম্পর্কে সচেতন করেছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে অনেক মানুষ জীবনসঙ্গীর মধ্যে কী কী প্রয়োজন সে সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পান।
কমেছে বিচ্ছেদের হার
বিয়েবিচ্ছেদ কমে যাওয়ার পেছনে মানুষের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ওঠা বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন মারিসা নেলসন।
সরকারি তথ্যমতে, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিয়েবিচ্ছেদের হার ছিল প্রতি এক হাজার জনে ২ দশমিক ৪। ২০২১ সালে এর হার ছিল আরও কম- ২ দশমিক ৩ মাত্র। কম বিচ্ছেদের সেই প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন>>
- প্রেমিকা মিলিয়ে দিলো চ্যাটজিপিটি, অবশেষে বিয়ে
- মৌমাছির হানায় লন্ডভন্ড বিয়ের আসর, আইসিইউ’তে দুই অতিথি
- চিঠি পাঠিয়েছে ৬০ বছর আগের প্রেমিকা, রেগে স্বামীকে হত্যার চেষ্টা
সেই তুলনায়, ২০০০ সালে দেশটিতে বিয়েবিচ্ছেদের হার ছিল প্রতি এক হাজার জনে চারটি। অর্থাৎ, আগের দুই দশকের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে বিয়েবিচ্ছেদের হার এখন অনেক কম।
নেলসন বলেন, লকডাউন চলাকালীন বাড়িতে একসঙ্গে আটকে থাকার কারণে অনেক দম্পতি তাদের সম্পর্কের বিষয়ে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে বাধ্য হয়েছিল। এটি অতিরিক্ত বিবাদের কারণ হতে পারে। আবার এটিই তাদের একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যতের জন্য আরও ভালো সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপনে সহায়তা করতে পারে।
সূত্র: সিএনএন
কেএএ/