গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৩১৬৪৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০৪ এএম, ১৮ মার্চ ২০২৪
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা/ ছবি: এএফপি

গাজার আল শিফা হাসপাতাল ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে একের পর এক গুলি চালানো হচ্ছে। ইসরায়েলের এক সামরিক মুখপাত্র দাবি করেছেন, হামাস যোদ্ধারা ওই হাসপাতালের ভেতরে পুনরায় সংগঠিত হয়েছে। খবর আল জাজিরার। 

যুদ্ধ বন্ধের বদলে রোববার মিশরের সীমান্তবর্তী শহর রাফায় স্থল অভিযানের হুমকি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত ওই শহরে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নেওয়ায় সেখানে হামলার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ।

এদিকে ত্রাণবাহী ১৯টি ট্রাক নিরাপদে জাবালিয়ায় পৌঁছেছে। গত চার মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো কোনো ঝামেলা ছাড়াই দক্ষিণ থেকে উত্তর গাজা উপত্যকায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করলো।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩১ হাজার ৬৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৩ হাজার ৬৭৬ জন।

গাজায় হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। সেখানে এখন পর্যন্ত গাজায় ১৩ হাজার শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া যেসব শিশুরা বেঁচে আছে তারা গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছে, এমনকি এসব শিশুর কান্না করার মতো শক্তিটুকুও অবশিষ্ট নেই। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এ তথ্য জানিয়েছে।

আরও পড়ুন:

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল রোববার সিবিএস নিউজ নেটওয়ার্ককে বলেন, আরও কয়েক হাজার শিশু আহত হয়েছে অথবা তারা কোথায় আছে সেটাও আমরা নির্ধারণ করতে পারছি না। অনেক শিশু এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারে... আমরা বিশ্বের অন্য কোনো সংঘাতে এত শিশুর মৃত্যু দেখিনি।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।