লোকসভা নির্বাচন
পশ্চিমবঙ্গের ৪৩ আসনে ভোট হবে ৭ দফায়
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। দেশটির ৫৪৩ আসনের জন্য ভোট নেওয়া হবে মোট সাত দফায়। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে নির্বাচন, চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ফল ঘোষণা হবে ৪ জুন।
শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে দিল্লির বিজ্ঞান ভবনের প্লেনারি হলে সংবাদ সম্মেলন করে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। এসময় উপস্থিত ছিলেন দুই নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং সান্ধু।
এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট হবে ১৯ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফার ভোট ২৬ এপ্রিল, তৃতীয় দফা ৭ মে, চতুর্থ দফা ১৩ মে, পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৫ মে এবং সপ্তম দফার ভোট নেওয়া হবে ১ জুন।
আরও পড়ুন>>
- তফশিলের আগেই বিজেপির ১৯৫ প্রার্থীর নাম ঘোষণা
- প্রার্থী তালিকায় বড় চমক মমতা ব্যানার্জীর, নেই মিমি-নুসরাত
- মনোনয়ন নিয়ে ‘বিবাদ’, ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করলেন মমতা
গোটা দেশের মধ্যে অরুণাচল প্রদেশ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, অন্ধ্রপ্রদেশ, চন্ডিগড়, দাদরা ও নগর হাভেলি, দিল্লি, গোয়া, গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, কেরল, লাক্ষাদ্বীপ, লাদাখ, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, পদুচেরি, সিকিম, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, তেলেঙ্গানা এবং উত্তরাখণ্ড- এই ২২ রাজ্যে মাত্র এক দফায় ভোটগ্রহণ হবে।
কর্ণাটক, রাজস্থান, ত্রিপুরা ও মণিপুর- এই ৪ রাজ্যে ভোট হবে দুই দফায়। ছত্তিশগড় ও আসামে নির্বাচন হবে তিন দফায়।
উড়িষ্যা, মধ্যপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ড-এই তিন রাজ্যে চার দফায় নির্বাচন হবে। মহারাষ্ট্র, জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন হবে পাঁচ দফায়। সর্বাধিক সাত দফায় নির্বাচন নেওয়া হবে তিনটি রাজ্য- পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উত্তর প্রদেশে।
আরও পড়ুন>>
- ‘গুরুতর’ আহত মমতা ব্যানার্জী, ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে
- একই আসনে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়বেন সাবেক স্বামী-স্ত্রী
- সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন হলো বাংলা ভাগের খেলা: মমতা ব্যানার্জী
পশ্চিমবঙ্গের মোট ৪২ লোকসভা আসনে ভোট হবে সাত দফায়। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে।
২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে। ৭ মে তৃতীয় দফায় মালদহ উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে। ১৩ মে চতুর্থ দফায় বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর, বীরভূম কেন্দ্রে। ২০ মে পঞ্চম দফায় বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, শ্রীরামপুর, হুগলি, উলুবেরিয়া ও আরামবাগ কেন্দ্রে।
২৫ মে ষষ্ঠ দফায় তমলুক, কাঁথি, ঝাড়গ্রাম, ঘাটাল মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে। ১ জুন সপ্তম ও শেষ দফায় দমদম, বারাসাত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ডহারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ ও কলকাতার উত্তর কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে।
নির্বাচনী তফশিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতজুড়ে জারি হয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি।
আরও পড়ুন>>
- পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে গরিব বানিয়ে রাখতে চায় তৃণমূল: মোদী
- তফশিলের আগেই পশ্চিমবঙ্গে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন
- ফের পশ্চিমবঙ্গে মোদীর সফর
সাত দফায় ভোট করানোর বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, দেশের ভৌগোলিক চিত্র দেখুন, নদী থেকে পাহাড়, মরুভূমি। নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত নিরাপত্তা বাহিনীর কথা ভাবুন। তাদের ওপর কী চাপ দেখুন? দুই-তিন সময়ের মধ্যে তাদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হবে। তার মধ্যে দোল উৎসব, রামনবমীসহ একাধিক উৎসব রয়েছে। এসব ভেবে নির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির করতে হয়।
তিনি বলেন, যেসব রাজ্যে সাত দফায় নির্বাচন হচ্ছে, সেখানে আসন সংখ্যা বেশি, কেন্দ্র বেশি।
২০১৯ সালের নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয়বারের মতো কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে বিজেপি। তারা জয় পায় ৩০৩টি আসনে। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পায় ৩৫৩ আসন। ওই নির্বাচনে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৩৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৮৯ সালের পর ভারতের কোনো রাজনৈতিক দল এত বেশি ভোট আর পায়নি।
ওই নির্বাচনে মাত্র ৫২ আসনে জয় পেয়েছিল শতাব্দীপ্রাচীন দল কংগ্রেস। আর কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট জিতেছিল ৯৮ আসনে।
ডিডি/কেএএ/