ইসলামবিদ্বেষের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভোট দেয়নি ভারত
ইসলামবিদ্বেষের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উত্থাপিত একটি খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেয়নি ভারত। এমন সিদ্ধান্তের পক্ষে দেশটির যুক্তি, শুধু ইসলাম ধর্ম নয়; হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ধর্মের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং বৈষম্যের ব্যাপকতাকেও স্বীকার করতে হবে।
গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) জাতিংঘের সাধারণ পরিষদে ‘ইসলামবিদ্বেষ মোকাবিলায় ব্যবস্থা’ শীর্ষক খসড়া প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিল পাকিস্তান এবং চীন। এর পক্ষে ভোট দিয়েছে ১১৫টি দেশ। কেউ বিপক্ষে না থাকলেও ভোটদানে বিরত ছিল ভারত, ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি, ইউক্রেনসহ ৪৪টি দেশ।
আরও পড়ুন>>
- যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোয় বাতিল হলো গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব
- জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে কাজ করতে দেবে না ইসরায়েল
- ফিলিস্তিনে সাহায্য বন্ধ না করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ ইহুদিবিদ্বেষ, খ্রিস্টানবিদ্বেষ, ইসলামবিদ্বেষ প্রসূত সব ধরনের কাজের নিন্দা জানান। কিন্তু তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, অন্যান্য ধর্মের ক্ষেত্রেও এ ধরনের বিদ্বেষ রয়েছে, তা স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ।
জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকার ব্যাপারে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, কয়েক দশক ধরে নন-আব্রাহামিক ধর্মের অনুসারীরাও ধর্মীয়বিদ্বেষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তার প্রমাণ স্পষ্ট। এটি সমসাময়িক ধর্মভীতির উত্থানের দিকে পরিচালিত করেছে; বিশেষ করে হিন্দুবিরোধী, বৌদ্ধবিরোধী এবং শিখবিরোধী মনোভাব তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন>>
- রোহিঙ্গাদের জন্য ফান্ড সংকট, এ বছর ৮৫ কোটি ডলার চায় জাতিসংঘ
- স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষ নিলো চীন
- জাতিসংঘে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে ভারতের সমর্থন
ভারতীয় প্রতিনিধির মতে, জাতিসংঘে এ ধরনের প্রস্তাব গ্রহণ করে এমন কোনো নজির স্থাপন করা উচিত নয়, যার ফলস্বরূপ নির্দিষ্ট ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষকে কেন্দ্র করে অসংখ্য প্রস্তাব আসতে পারে। এমনটি হলে ধর্মীয়ভাবে বিভক্ত হয়ে যাবে বৈশ্বিক এই সংস্থা।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের জন্য এ ধরনের ধর্মীয় উদ্বেগের ঊর্ধ্বে অবস্থান বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র: এনডিটিভি
কেএএ/