রাজনৈতিক চাপ থেকে সাংবাদিকদের রক্ষায় ইউরোপে নতুন আইন
রাজনৈতিক চাপ ও নজরদারি থেকে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় নতুন একটি আইনের অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। এই আইনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে স্পাইওয়্যার (নজরদারি সফটওয়্যার) ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং তাদের তথ্যদাতার গোপনীয়তা রক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার (১৩ মার্চ) ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ৪৬৪ ভোটে পাস হয় আইনটি। এর বিরুদ্ধে ভোট দেন ৯২ আইনপ্রণেতা, বিরত ছিলেন আরও ৬৫ জন। এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ সদস্য রাষ্ট্র গ্রহণ করলেই আইনটি কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন>>
- ইউরোপে আশ্রয় আবেদনে বাংলাদেশিদের নজিরবিহীন রেকর্ড
- ইইউ’র নতুন অভিবাসন চুক্তি: যা জানা প্রয়োজন
- ইউরোপে পুনর্বাসিত হচ্ছে ৬১ হাজার শরণার্থী
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূল্যবোধ ও স্বচ্ছতা বিষয়ক কমিশনার ভেরা জাউরোভা বুধবারের ‘ঐতিহাসিক ভোটকে’ স্বাগত জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীন মিডিয়া অপরিহার্য এবং তাদের রক্ষা করা গণতন্ত্রের কর্তব্য।
ইইউ’র নতুন আইনকে স্বাগত জানিয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসও (আরএসএফ)। আরএসএফের ব্রাসেলস অফিসের প্রধান জুলি মাজারজাক বলেছেন, আইনটি গ্রহণ করা ইউরোপীয় ইউনিয়নে তথ্য অধিকারের ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোকে আইনটি ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষীভাবে’ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন>>
- গুগলের বিরুদ্ধে ১৩ দেশের ৩২ মিডিয়া গ্রুপের মামলা
- এবার ইউরোপীয় ট্যাংকারে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ট্রাম্পের মন্তব্যে দুশ্চিন্তা বেড়েছে ইউরোপের
ইউরোপীয় মিডিয়া স্বাধীনতা আইনের খসড়া তৈরি হয়েছিল ২০২২ সালে। হাঙ্গেরি-পোল্যান্ডের মতো ইইউ সদস্য দেশগুলোতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অবনতি এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পেগাসাস-প্রিডেটরের মতো স্পাইওয়্যার ব্যবহারের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই আইন সামনে এনেছিল ইউরোপীয় কমিশন।
নতুন আইনে সম্পাদকীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা এবং মিডিয়ার মালিকানায় স্বচ্ছতা উন্নত করার মতো বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ভোটাভুটির আগে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক বিতর্কে জাউরোভা বলেছেন, ইউরোপের মিডিয়াগুলো যেসব ‘স্পষ্ট সমস্যার’ মুখোমুখি হচ্ছে, এই আইনের বিধানগুলো তার সমাধান করবে। এসব সমস্যার মধ্যে রয়েছে সম্পাদকীয় সিদ্ধান্তে সরকারের হস্তক্ষেপ, জনসেবামূলক মিডিয়ার ওপর চাপ, সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি, মিডিয়ার মালিকানা ও রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞাপনে স্বচ্ছতার অভাব, মিডিয়া নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব।
সূত্র: এএফপি, এনডিটিভি
কেএএ/