অভিষেকের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে?
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে বিভিন্ন উন্নয়ন বোর্ড এবং সম্প্রদায়ের সভায় এ কথা জানান তিনি। কে বা কারা অভিষেকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে সে বিষয়টি পরিষ্কার করেননি মমতা।
তবে তার বক্তৃতার আগে-পরের তথ্য শুনে অনেকে মনে করছেন, এই প্রসঙ্গে মমতা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পদক্ষেপের কথাই বলতে চেয়েছেন। অবশ্য এই তৃণমূল নেত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, সব বিষয়ের নেপথ্যে রয়েছে বিজেপির ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’।
শিলিগুড়িতে বক্তব্য দেওয়ার সময় মমতা বলেন, আমাদের ওপর বিজেপির খুব রাগ। কারণ আমরা ভয় পাই না। তারপরেই মমতা বলেন, আপনারা জানেন না... অভিষেক একটা ইয়ং ছেলে। কিছু তো একটা করতে হবে। বিয়ে করেছে। দুটো বাচ্চা আছে। না হলে খাওয়াবে কী? ঘরে বসে থাকলে তো খাবার পাবে না। ওর একটা বিজনেস ছিল। সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমি আগে কখনও এই কথা বলিনি। কারণ, আমরা লড়াই করছি। আমাদের যা আছে তোমরা নিয়ে নাও। কিন্তু গণতন্ত্রকে ধ্বংস করো না।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে অভিষেকের সংস্থা ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর। সেই সূত্রেই সংস্থার কর্মী সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-কে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়েও ঘটনার ঘনঘটা চলছিল।
ওই সংস্থার পরিচালকের পদে আগে ছিলেন অভিষেক। ২০১৪ সালে তিনি প্রথম লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবার থেকে। সেই সময়ে সংস্থাটির পরিচালক পদ থেকে ইস্তফা দেন অভিষেক। বর্তমানে ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর পরিচালক পদে রয়েছেন অভিষেকের বাবা, মা এবং স্ত্রী। অভিষেক ওই পদ ছাড়লেও সংস্থার নির্বাহী প্রধানের পদে এখনও আছেন।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত সূত্রে অভিষেকের পাশাপাশি তার বাবা, মা এবং স্ত্রীকেও নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। অভিষেক এবং তার স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায় পৃথক দিনে হাজিরা দিয়েছিলেন। তবে অভিষেকের বাবা-মা আইনজীবী মারফত নথি পাঠিয়েছিলেন সিজিও কমপ্লেক্সে।
এর আগে মমতা বলেছিলেন, অভিষেকের জন্মের আগের নথি চাওয়া হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসে আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অভিষেক জানিয়েছিলেন, ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’ এখনও কাজ করে। ওই সংস্থার একটি খাবার পানি তৈরির কারখানা রয়েছে। তা ছাড়া শেয়ার ট্রেডিং করা হয়। সেই কাজ অভিষেক নিজে দেখেন বলেই জানিয়েছিলেন।
টিটিএন