রাশিয়ায় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দ. কোরিয়ার নাগরিক আটক
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার এক নাগরিককে আটক করেছে রাশিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ওই ব্যক্তির আটক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা আটক হওয়া ব্যক্তিকে সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, বায়েক ওয়ান নামের দক্ষিণ কোরিয়ার এক নাগরিক চলতি বছরের শুরুতেই সুদূর পূর্বাঞ্চলীয় শহর ভ্লাদিভোস্টক থেকে আটক হন। তিনি বর্তমানে মস্কোর একটি কারাগারে রয়েছেন।
গত কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো নাগরিক রাশিয়ায় আটক হলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তার আটকের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণায় জানিয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং এখনি বিস্তারিত কিছু জানানো সম্ভব নয়।
কিন্তু রাশিয়ার তাস নিউজ এজেন্সি এক প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রাষ্ট্রীয় গোপনীয় তথ্য প্রকাশ করেছে বলে বায়েকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, সিউলকে আনুষ্ঠানিকভাবে রুশ কর্তৃপক্ষ গত মাসে বায়েকের গ্রেফতারের বিষয়টি জানিয়েছিল। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম ইয়োনহাপ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বায়েক চীন থেকে ভ্লাদিভোস্টকে আসার পর জানুয়ারিতে রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস তাকে আটক করে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি একজন ধর্মীয় অনুসারী এবং তার সাথে তার স্ত্রীও ছিলেন। তার স্ত্রীকেও আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরে এসেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুই বছর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকেই রাশিয়ায় বিদেশি নাগরিকদের আটকের ঘটনা বেড়ে গেছে। রাজনৈতিক দর কষাকষির মাধ্যম হিসাবে এবং বন্দী বিনিময়ের জন্য অন্যান্য দেশের নাগরিকদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন:
- পাগল-বোকা বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কলঙ্ক: মেদভেদেভ
- পুতিনকে অকথ্য ভাষায় গালি দিলেন বাইডেন
- পুতিনকে গালি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকেই ছোট করেছেন বাইডেন: রাশিয়া
এর আগে গত মার্চে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এক মার্কিন নাগরিক এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টার ইভান গার্শকোভিচকে আটক করা হয়। এছাড়া রাশিয়ান বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক আলসু কুরমাশেভাকে রাশিয়ান সেনাবাহিনী সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
টিটিএন