মালদ্বীপের কাছাকাছি নৌঘাঁটি গড়বে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২৯ পিএম, ০৩ মার্চ ২০২৪
২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর লাক্ষাদ্বীপে ঘুরতে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী/ ছবি: সংগৃহীত

মালদ্বীপের নিকটবর্তী কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ লাক্ষাদ্বীপে নতুন নৌঘাঁটি খুলতে যাচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী। দ্বীপরাষ্ট্রটি থেকে নিজেদের সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে এমন খবর দিলো তারা। ভারতীয় নৌবাহিনীর দাবি, দ্বীপগুলোতে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতেই এই পদক্ষেপ।

শনিবার (২ মার্চ) রাতে ভারতীয় নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, মালদ্বীপে চীনের ক্রবর্ধমান প্রভাব বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। মূলত এ কারণেই দেশটির কাছাকাছি ঘাঁটি গড়তে চায় ভারত। নতুন ঘাঁটিটি ওই এলাকায় ভারতের সক্রিয় নজরদারিকে জোরদার করবে। বুধবার (৬ মার্চ) লাক্ষাদ্বীপে খোলা হবে নতুন ঘাঁটি।

আরও পড়ুন: 

অন্যদিকে, মিনিকয় দ্বীপে ভারতের নতুন নৌঘাঁটিটিও লাক্ষাদ্বীপের খুব কাছে অবস্থিত। লাক্ষাদ্বীপের কাভারত্তি নামক অংশে ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটি রয়েছে। তবে, নতুন ঘাঁটিটি মালদ্বীপের মাত্র ২৫৮ কিলোমিটার দূরে করা হবে। ভারতীয় নৌবাহিনী মনে করছে, ঘাঁটিটি জলদস্যু ও মাদকবিরোধী অভিযানেও কাজে লাগবে। এরই মধ্যে সেখানে পাঠানো হচ্ছে রণতরী ‘জটায়ু’।

বঙ্গোপসাগরে নজরদারির জন্য আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জের কাছে রয়েছে ভারতের বিমানঘাঁটি ‘আইএনএস বাজ’। আর জটায়ু রণতরীটিকে লাক্ষাদ্বীপে পাঠানোর ফলে আরব সাগরেও ভারতের নজরদারি আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। লাক্ষাদ্বীপে আপাতত রণতরী ছাড়াও বেশকিছু হেলিকপ্টার পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর। জানা গেছে, সেখানে এমএইচ ৬০ মডেলের হেলিকপ্টার পাঠানো হবে।

আরও পড়ুন: 

গত বছর চীনপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু ভারতীয় সেনাদের হটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হন। এরপর থেকেই মূলত ভারত-মালদ্বীপের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। নির্বাচনে জয়লাভ করার পরপরই মালদ্বীপে অবস্থানরত ভারতের ৮৯ সেনাকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেন মুইজ্জু। ভারতীয় সেনাদের প্রথম ব্যাচটি ১০ মার্চের মধ্যে মালদ্বীপ ত্যাগ করবে। আর বাকিদের পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে চলে যেতে হবে।

সূত্র: এএফপি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।