বেইলি রোডের আগুন নিয়ে যা লিখলো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১০ এএম, ০১ মার্চ ২০২৪
আগুনে পুড়েছে গ্রিন কজি কটেজ, ছবি: জাগোনিউজ

অডিও শুনুন

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কজি কটেজ ভবনের আগুনে পুড়ে মারা গেছেন অন্তত ৪৩ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০ জনের অধিক। ভয়াবহ এ আগুনের খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি ৬ তলা ভবনের আগুনে অন্তত ৪৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। রয়টার্স আরও বলেছে, একটি জনপ্রিয় বিরিয়ানির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় যা পরে ভবনের অন্যান্য ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন

প্রায় একই ধরনের খবর দিয়েছে বিবিসি। ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি লিখেছে, কাচ্চি ভাই নামের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে ফায়ার সার্ভিসকে আগুনের খবর দেওয়া হয়। ওই ভবনে আরও রেস্টুরেন্ট ছিল।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বিবিসি আরও লিখেছে, ভবনটি ছিল বিপজ্জনক। প্রতিটি ফ্লোরেই গ্যাসের সিলিন্ডার ছিল। এমনকি সিঁড়িতেও ছিল।

বেইলি রোডের আগুন নিয়ে যা লিখলো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম

সংগৃহীত ছবি

আগুনের এ খবর দিয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখেছে, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে বহু নতুন ভবন গড়ে উঠেছে। এগুলোর অধিকাংশেই যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। ত্রুটিযুক্ত গ্যাসের লাইন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র এবং নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সংযোগ থেকে ঘটছে এসব অগ্নিকাণ্ড এবং বিস্ফোরণের ঘটনা।

আরও পড়ুন

আগুনের সূত্রপাত এবং হতাহতের একই ধরনের খবর দিয়েছে স্কাই নিউজ, নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য গার্ডিয়ান, সিবিএস নিউজ, ডেকান হেরাল্ড, এনডিটিভি এবং টাইমস অব ইন্ডিয়া। সবগুলো গণমাধ্যমই হতাহতের বর্ণনা দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এবং ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের বরাতে।

অন্যদিকে জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে লিখেছে, নিরাপত্তার অভাবে কারখানা এবং বাসভবনে আগুনের ঘটনা বাংলাদেশে নিয়মিত এবং কুখ্যাত হয়ে উঠেছে।

এমএইচআর/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।