পুতিনকে গালি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকেই ছোট করেছেন বাইডেন: রাশিয়া
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। বিষয়টিকে খুবই লজ্জাজনক ও এর মাধ্যমে জো বাইডেন নিজের দেশকেই ছোট করেছেন বলে দাবি করেছে ক্রেমলিন।
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান ফ্রান্সিসকো শহরে প্রচারণার জন্য তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন বাইডেন। সেসময় তিনি বলেন, মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য সর্বশেষ হুমকি হলো জলবায়ু পরিবর্তন। কিন্তু পুতিনের মতো কিছু ‘ক্রেজি সন অব এ বিচ’ বা ‘পাগলা কুত্তার বাচ্চার’ কারণে আমাদের সারাক্ষণ পারমাণবিক যুদ্ধ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে, যা জলবায়ুর জন্য চরম হুমকি।
আরও পড়ুন:
- পুতিনকে অকথ্য ভাষায় গালি দিলেন বাইডেন
- ৮১ বছরে বাইডেন, পুনর্নির্বাচনে বয়সই কি বাধা হবে?
- প্লেনের সিঁড়িতে তিনবার হোঁচট খেলেন বাইডেন
- বাইডেনের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বক্তব্যে বিব্রত হোয়াইট হাউজ
এই গালির প্রতিক্রিয়ায় ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, বাইডেনের এমন মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই বড় লজ্জার। কোনো প্রেসিডেন্ট যদি এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করেন তাহলে তা কোনোভাবেই গ্রহণ করা যায় না। এটা স্পষ্ট যে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপ সামলাতে গিয়ে হলিউডের কাউবয়দের মতো আচরণ করছেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে পুতিনের বিরুদ্ধে বাইডেনের মৌখিক আক্রমণ দিনদিন বেড়েই চলেছে। তবে শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা ও পুতিনের কট্টোর সমালোচক অ্যালেক্সি নাভালনি কারাবন্দী অবস্থায় মারা যাওয়ার পর পুতিনের প্রতি বাইডেনের মোখিক আক্রমণ অনেক বেড়ে গেছে। নাভালনির মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় জো বাইডেন বলেছিলেন, আমরা জানি না ঠিক কী ঘটেছিল। তবে এতে কোনো সন্দেহ নেই যে নাভালনির মৃত্যু পুতিন ও তার গুন্ডাদের কারণেই হয়েছে। এটি পুতিনের নৃশংসতার প্রমাণ।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে ক্রেমলিন বলে, নাভালনির মৃত্যুর সঙ্গে পুতিনের জড়িত থাকার যে দাবি পশ্চিমারা তুলেছে, তা ভিত্তিহীন ও অগ্রহণযোগ্য।
আরও পড়ুন:
- নাভালনির মৃত্যু, পুতিনকেই দায়ী করলেন বাইডেন
- ট্রাম্প নন, হোয়াইট হাউজে ফের বাইডেনকে চান পুতিন
- নির্বাচনের আগে টিকটকে যোগ দিলেন বাইডেন
এদিকে, বাইডেন যে এবারই এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করলেন, তা নয়। এর আগে ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পুতিনকে ‘কসাই’ ও ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলেও সম্বোধন করেছেন বাইডেন। তার আগে হামাস-ইসরায়েল সংঘাত কেন্দ্র করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকেও গালি দিয়ে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মূলত গাজা ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অনুরোধ ও প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় রাগান্বিত হয়েই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে গালি দেন বাইডেন।
তাছাড়া ২০২২ সালের জানুয়ারিতে সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের সাংবাদিক তাকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে প্রশ্ন করলে বাইডেন তাকে ‘বোকা কুত্তার বাচ্চা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। অনেকে বলেন, বয়স বেশি হয়ে যাওয়ায় মাঝেমধ্যে অসচেতনভাবেই এমনসব কাণ্ড করে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সূত্র: রয়টার্স, ডয়েচে ভেলে
এসএএইচ