মহাবিশ্বের সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তু খুঁজে পাওয়ার দাবি বিজ্ঞানীদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:১৮ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের খুঁজে পাওয়া মহাবিশ্বের উজ্জ্বলতম বস্তু/ ছবি: সংগৃহীত

মহাবিশ্বের সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তুর সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছেন একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানী। অস্ট্রেলিয়ার জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি দল এই অসাধারণ মহাজাগতিক বস্তু শনাক্ত করেছে, যা এখন পর্যন্ত মহাবিশ্বে আবিষ্কৃত সবচেয়ে উজ্জ্বল।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এটি মূলত কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোলের শক্তিচালিত একটি কোয়েসার। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের সন্ধান পাওয়া কোয়েসারটিকে যে কৃষ্ণগহ্বরের শক্তিতে চলছে, সেটি এক দিনে একটি সূর্যকে গ্রাস করতে পারে। এর আগে এমন দ্রুত বর্ধনশীল কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন: 

খবর অনুসারে, বিশাল এই কৃষ্ণগহ্বরচালিত কোয়াসারটির উজ্জ্বলতা আমাদের সূর্যের তুলনায় ৫০০ ট্রিলিয়ন গুণ ছাড়িয়ে গেছে। এটির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা কৃষ্ণগহ্বরটি সাধারণ নয়। এটির ভর আমাদের সূর্যের ভরের ১৭ বিলিয়ন গুণ। আর এটি প্রতিদিন সূর্যের উপাদানের সমতুল্য বস্তু গ্রাস করে।

নেচার অ্যাস্ট্রোনমি জার্নালে গবেষকদের অনুসন্ধানের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অস্ট্রেলিয়ায় ২ দশমিক ৩ মিটার দূরবীন দিয়ে এই আবিষ্কার শুরু হয়েছিল। তবে তাদের ফলাফলের বৈধতা যাচাই করার জন্য, গবেষকরা ইউরোপীয় সাউদার্ন অবজারভেটরির ভেরি লার্জ টেলিস্কোপ থেকে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, যা 8-মিটার আয়না দিয়ে সজ্জিত।

আরও পড়ুন: 

কোয়েসারটির প্রথম খোঁজ পান অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা। এটি সূর্যের চেয়ে ১ হাজার ৭০০ কোটি গুণ বেশি ভরসম্পন্ন। এই কোয়েসার থেকে যে আলো নির্গত হয়, তা পৃথিবীতে পৌঁছাতে ১ হাজার ২০০ কোটি বছরের বেশি সময় লাগে।

এটির আনুষ্ঠানিক নাম দেওয়া হয়েছে ‘জেজিরোফাইভটুনাইন-ফোরথ্রিফাইভওয়ান’। তবে বিজ্ঞানীরা এটিকে সংক্ষেপে ‘কাজার’ নামে ডাকছেন। বেশ কয়েক বছর আগেই এটি আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা। দীর্ঘদিন গবেষণার পর সম্প্রতি এর বিস্তারিত জানানো হলো।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।