কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে ইমরান খানের আপিল
পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তোশাখানা দুর্নীতি ও সাইফার মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। একই সঙ্গে পিটিআই নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিও সাইফার মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) আপিল করেন তারা।
পিটিআইয়ের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাঈদ আলী জাফর ইমরান খানের আপিল আবেদন আদালতে জমা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইদ্দাত মামলায় দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধেও আপিল করবেন ইমরান খান। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এই চ্যালেঞ্জের কপি আদালতে জমা দেওয়া দবে।
- আরও পড়ুন: আইয়ুব খানের নাতিকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করলেন ইমরান খান
- আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মানুষ ইতিহাস সৃষ্টি করেছে: ইমরান খান
এর আগে জানা গিয়েছিল, ব্যারিস্টার আলী জাফরের নেতৃত্বে পিটিআইয়ের আইনি দল ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে ও তার কয়েক দিনের মধ্যে আদালতে দায়ের করা হতে পারে।
আপিলে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট ইমরান খানের গ্রেফতার ও রিমান্ড শুনানি সবচেয়ে আপত্তিকর ও গোপনীয় পদ্ধতিতে করা হয়েছিল। কোনো ধরনের যৌক্তিক কারণ ছাড়াই ইমরান খানের বিরুদ্ধে তাড়াহুড়ো করে রায় দেওয়া হয়েছিল। ২০ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে বিচারকাজ শেষ করেছিলেন আদালত। আপিলে আরও দাবি করা হয়েছে, বিচারকের এমন আচরণে ইমরান খানের সুষ্ঠু বিচারের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।
- আরও পড়ুন: ইমরান খান-বুশরা বিবির বিয়ে অবৈধ, ৭ বছরের কারাদণ্ড
- আরও পড়ুন: এবার সস্ত্রীক ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
গত বছরের ৫ আগস্ট তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছর কারাদণ্ডের রায় দেন ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (এডিএসজে) হুমায়ুন দিলাওয়ার। রায় ঘোষণার পরপরই ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এ নেতাকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।
অন্যদিকে, গোপন নথি ফাঁস বা সাইফার মামলায় চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ একটি আদালত। এর একদিন পরেই তোশাখানা মামলায় ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
তাছাড়া বিবাহ বিচ্ছেদের পর শরিয়া আইন মেনে ইদ্দতকাল পালন না করার অভিযোগে করা একটি মামলায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি ইমরান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সূত্র: ডন
এসএএইচ