বাড়ছে এইডস
ভালোবাসা দিবসে ‘আপত্তিকর কাজ’ নয়, কম্বোডিয়ার স্কুলগুলোতে নোটিশ
এশিয়াসহ গোটা বিশ্বেই তরুণ-তরুণীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভ্যালেন্টাইনস ডে তথা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এদিন দোকানে দোকানে দেখা মেলে হৃদয়-আকৃতির চকলেট, লাল গোলাপসহ ভালোবাসা প্রকাশের নানা উপকরণের। বেশিরভাগ দেশেই দিনটি নিরীহ মজার উপলক্ষ হিসেবে মনে করা হয়। কিন্তু ব্যতিক্রম কম্বোডিয়া।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে রীতিমতো নোটিশ জারি করে ভালোবাসা দিবসে শিক্ষার্থীদের ‘আপত্তিকর কর্মকাণ্ড’ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। অন্যথায়, ‘সম্মানহানি’ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা।
আরও পড়ুন>>
গত মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কম্বোডিয়ান শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশটির সব সরকারি-বেসরকারি স্কুলে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। এতে কর্তৃপক্ষগুলোকে ভালোবাসা দিবসে ‘অনুপযুক্ত কর্মকাণ্ড’ প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, এটি খেমার জাতির ঐতিহ্য নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ভালোবাসা দিবসে ‘কিছু তরুণ-তরুণী পড়াশোনা ভুলে গিয়ে নিজের এবং পরিবারের মর্যাদা নষ্ট করেছে’।
এ অবস্থায় ‘শিশুদের সম্মান ও মর্যাদার স্বার্থে খেমার ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দিনটি উদযাপন করার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য’ কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
কম্বোডিয়ার নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, কিছু লোক ‘১৪ ফেব্রুয়ারির অর্থ ভুল বোঝে’।
বাড়ছে এইডসের শঙ্কা
কম্বোডিয়ার জাতীয় এইডস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটিতে ক্রমেই এইডস ছড়িয়ে পড়ছে এবং ‘কিছু লোক, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম ভালোবাসা দেখাতে ভ্যালেন্টাইনস ডে ব্যবহার করে, যা সম্ভাব্য যৌন মিলনের দিকে পরিচালিত করে’।
গত বছর দেশটিতে এইডস রোগীর সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৬০০, যার মধ্যে নতুন রোগী ছিলেন ১ হাজার ৪০০ জন। নতুন আক্রান্তদের প্রায় ৪২ শতাংশই ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ-তরুণী।
আরও পড়ুন>>
বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে কম্বোডিয়া সরকার। দেশটির রক্ষণশীলরা মনে করেন, ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপনের রীতি বিদেশ থেকে এসেছে, যা ঐতিহ্যগত বৌদ্ধ বিশ্বাসের প্রতি একটি নৈতিক হুমকি।
সূত্র: এএফপি, এনডিটিভি
কেএএ/