গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সন্তানসহ সাংবাদিক নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৭ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ছবি: এএফপি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এক সাংবাদিক এবং তার ছেলে নিহত হয়েছে। নাফেজ আবদেল জাওয়াদ নামের ওই সাংবাদিক প্যালেস্টাইন টিভিতে কর্মরত ছিলেন। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর আল বালাহর কাছাকাছি অবস্থিত আস সালামের একটি আবাসিক ভবনে হামলা চালানো হয়।

সেখানে বোমা হামলার ঘটনায় জাওয়াদ এবং তার একমাত্র ছেলে প্রাণ হারান। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।

আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতি/ হামাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন নেতানিয়াহু

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১২২ জনের বেশি সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যে প্রস্তাব দিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, আর কয়েক মাসের মধ্যেই গাজায় সম্পূর্ণ বিজয় সম্ভব হবে।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে তিন ধাপে ১৩৫ দিনের চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, হামাসের হাতে জিম্মি সব ইসরায়েলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। বিনিময়ে অবরুদ্ধ উপত্যকা থেকে ইসরায়েলকে সব সৈন্য ফিরিয়ে নিতে হবে এবং বন্দি ফিলিস্তিনি নারী-শিশুদের মুক্তি দিতে হবে।

গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে গত সপ্তাহে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা যে প্রস্তাব দিয়েছিল, সেটির জবাবেই এসব শর্ত দিয়েছে হামাস। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর গত পাঁচ মাসের মধ্যে সংঘাত বন্ধে এটিই সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ১৩৫ দিনের চুক্তির প্রস্তাব হামাসের

তবে হামাসের প্রস্তাবকে ‌‌‘উদ্ভট’ বলে উল্লেখ করেছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, একটি সম্পূর্ণ এবং চূড়ান্ত বিজয় ছাড়া অন্য কোনো সমাধান নেই। হামাস যদি গাজায় টিকে থাকে তবে পরবর্তীতে আবারও তারা হুমকি হয়ে উঠবে।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।