ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৮
ইউক্রেনে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। সেখানে দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও ১৩০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: দোনেৎস্ক শহরে গোলাবর্ষণে নিহত ২৭
এক ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, ১৩৯টি বাড়িসহ দুই শতাধিক স্থানে হামলা চালানো হয়েছে।
একটি বহুতল ভবনে হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে। জেলেনস্কি দাবি করেছেন, রাশিয়া যেখানে হামলা চালিয়েছে সেখানে বেসামরিক নাগরিকরা বসবাস করেন। রাশিয়ার এই হামলার কঠিন জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ শহরে তিন দফায় হামলা চালানো হয়েছে। রাজধানী কিয়েভ এবং মধ্য ইউক্রেনেও হামলা
চালানো হয়েছে। এছাড়া খেরসনের দক্ষিণাঞ্চলে ক্রমাগত গোলাবর্ষণ করা হয়েছে।
এদিকে খারকিভের আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ সুনিয়েহুবোভ জানিয়েছেন, সেখানে প্রথম দুটি হামলায় শতাধিক বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এস-৩০০, কেএইচ-৩২ এবং হাইপারসনিক ইসকান্দর ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে একটি আবাসিক ভবনে আরও একটি হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
কয়েকদিন আগেই রুশ-অধিকৃত দোনেৎস্ক শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত একটি বাজারে গোলা বর্ষণের ঘটনায় কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়। এছাড়া আহত হয় আরও ২৫ জন। দোনেৎস্ক কর্তৃপক্ষের প্রধান ডেনিস পুশিলিন টেক্সটিলশ্চিক ওই শহরতলিতে হামলার জন্য ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকেই দায়ী করেছেন।
তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। দোনেৎস্ক শহরে গোলাবর্ষণসহ বেসামরিক নাগরিক এবং বেসামরিক অবকাঠামোর বিরুদ্ধে সব ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা জানান জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। সংস্থাটির এক মুখপাত্র বলেন, এ ধরনের সব হামলা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করতে পারে রাশিয়া, প্রস্তুতি নিচ্ছে জার্মানি
ওই হামলার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, রাশিয়া একদিনে ইউক্রেনের ৯টি অঞ্চলে ১০০টিরও বেশি শহর এবং গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে। তবে দোনেৎস্ক অঞ্চলের হামলা বেশ গুরুতর ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
টিটিএন