গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জাতিসংঘের
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির জন্য আবারও আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে এই আহ্বান জানান সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। এর আগেও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪ হাজারের বেশি নিহত
সুইজারল্যান্ডের ডেভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক সম্মেলনে গুতেরেস বলেন, গাজায় যুদ্ধরত পক্ষগুলো আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। এতে মানবিক সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই যুদ্ধ বন্ধের জন্য তেমন কিছুই করছে না।
গুতেরেস বলেন, সেখানে বেসামরিক নাগরিক বিশেষ করে নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। তাদেরকে নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে এবং কোনো ধরনের মানবিক সহায়তা সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সেখানে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির জন্য আমি আবারও আহ্বান জানাচ্ছি। দ্বি-রাষ্ট্রীক সমাধানের মাধ্যমে সেখানে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়েও জোর দেন তিনি।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ২৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে হামলা চালিয়ে বহু আবাসিক ভবন, নাসের হাসপাতাল এবং আল আমাল হাসপাতাল ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজার প্রত্যেকেই এখন ক্ষুধার্ত। ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং ওই অঞ্চলে সব ধরনের মানবাধিকার সহায়তা প্রবেশে বাঁধা দেওয়ায় মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার এমন কোনো স্থান এখন বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী তাণ্ডব চালায়নি।
আরও পড়ুন: জিম্মিদের সুরক্ষার বিনিময়ে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বাড়াবে ইসরায়েল
গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৪ হাজার ২৮৫ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৬১ হাজার ১৫৪ জন।
টিটিএন