শচিনকেও ছাড় দিলো না ‘ডিপফেক’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:১৭ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
শচিন টেন্ডুলকার /ছবি: সংগৃহীত

এবার ডিপফেকের শিকার হলেন ভারতের ক্রিকেট কিংবদন্তী শচীন টেন্ডুলকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি একটি বেটিং অ্যাপের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন- এমন একটি ভুয়া ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই মহাতারকা।

ছড়িয়ে পড়া ওই বিজ্ঞাপন ভিডিওটিতে দেখা যায়, শচিন টেন্ডুলকার বলছেন, এখানে খেলে প্রতিদিন ১ লাখ ৮০ হাজার রুপি আয় করা সম্ভব। মাঝেমধ্যে আমি আশ্চর্য হয়ে যাই, এখন আয় করা এত সহজ! শুধু তাই নয়, সেখানে এটাও বলতে শোনা যায় যে এই অ্যাপ ব্যবহার করে প্রচুর উপার্জন করছেন শচিনের মেয়ে সারা টেন্ডুলকারও।

ভুয়া ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পরই তীব্র প্রতিবাদের সঙ্গে সরব হয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) একটি ভিডিও প্রকাশ করেন শচিন। সেখানে এই কিংবদন্তি জানান, বিজ্ঞাপনে বলা কথাগুলো তার নয়। মূলত পুরোনো একটি ভিডিওতে ডিপফেক প্রযুক্তির মাধ্যমে তার কণ্ঠ নকল করে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ ধরনের ভুয়া বিজ্ঞাপন বা ডিপফেক ভিডিও বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন টেন্ডুলকার। এমনকি অসঙ্গতিপূর্ণ কোনো ভিডিও কিংবা বিজ্ঞাপন সামনে এলে সেগুলো রিপোর্ট করতেও বলেছেন তিনি।

শচিন টেন্ডুলকারের বক্তব্য, এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাহকদের অভিযোগগুলো গুরুত্বসহকারে নেওয়া উচিত তাদের। ভুল তথ্য ও ডিপফেক ছড়ানো বন্ধে আরও দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

প্রযুক্তির সাহায্যে সূক্ষ্মভাবে কোনো ব্যক্তির শরীর বা নকল কণ্ঠ বসিয়ে তৈরি করা ছবি বা ভিডিওকে ডিপফেক কনটেন্ট বলা হয়। এটি ভুয়া কনটেন্ট হলেও প্রথম দেখায় এমনকি সাধারণ চোখে একাধিকবার দেখলেও আসল কনটেন্ট থেকে আলাদা করা কঠিন।

গত বছরের নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় এ প্রযুক্তির শিকার হয়েছিলেন টেন্ডুলকারের মেয়ে সারা টেন্ডুলকার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বেশকিছু ডিপফেক ছবি ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন সারা।

গত বছরের শেষদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটা পর্যন্ত এই ডিপফেক ভিডিওর শিকার হয়েছিলেন। তাছাড়া ভারতীয় অভিনেত্রী রাশ্মিকা মান্দানা, ক্যাটরিনা কাইফ, আলিয়া ভাট, কাজল, প্রিয়াঙ্কা চোপড়াসহ আরও অনেক তারকা এই ডিপফেক ভিডিওর শিকার হয়েছেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ভারতে দিন দিন ডিপফেক ভিডিও নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই যাচ্ছে। যে কোনো সময় যে কেউ এই ছলনার শিকার হতে পারেন। সে কারণে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিরাপত্তা নিয়ে বারবারই প্রশ্ন উঠছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।