কলকাতায় বায়ুদূষণের মাত্রা আশঙ্কাজনক
জাঁকিয়ে শীত পড়েছে কলকাতায়। গত কয়েক দিন ধরেই সকাল থেকে কুয়াশায় ঢাকা পড়ে থাকছে এই মহানগর, থাকছে বেশ বেলা পর্যন্ত। প্রতিবছরের এই সময়ে এসে ভালোই ঠান্ডা পলেও, চলতি বছর ঠান্ডার প্রকোপ অনেকটাই বেশি। এর মধ্যেই রোববার (১৪ জানুয়ারি) পৌষের শেষ দিনে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে কলকাতাসহ তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে বাতাসের গুণমান অনেকটাই কমেছে।
শীতের কলকাতায় ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বায়ু দূষণের মাত্রা। গত বছর দীপাবলির সময় থেকেই মহানগরের বাতাস খারাপ থেকে খুব খারাপ হচ্ছিল। এবারের শীতে সেই বায়ু দূষণের মাত্রা আরও বাড়ছে। গাড়ির ধোঁয়া ছাড়াও নির্মাণকাজ, উষ্ণতার জন্য জ্বালানো আগুনের কারণে পস্থিতিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহার, উড়িষ্যা থেকেও দূষিত বাতাস কলকাতায় ঢুকছে।
জানা গেছে, কলকাতার সাতটি বায়ু গুনমান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে যাদবপুর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, বালিগঞ্জ ও ফোর্ট উইলিয়াম কেন্দ্র ‘খুব খারাপ’ বায়ুমান রেকর্ড করেছে। অন্যদিকে, বিধাননগর ও রবীন্দ্র সরোবর কেন্দ্র ‘খারাপ’ বায়ুমান রেকর্ড করেছে ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রটি ‘মাঝারি মানের’ বায়ুমানে রেকর্ড করেছে।
মূলত প্রাণঘাতী দূষণকণা পার্টিকুলেট ম্যাটার পিএম-২ দশমিক ৫ ও পিএম-১০ কে মানবস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর বলে ধরা হয়। তার মধ্যে পিএম-২ দশমিক ৫ হলো বেশি ক্ষতিকর। গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতার বাতাসে পিএম-২ দশমিক ৫ ও পিএম-১০ এর উপস্থিতি অনেক বেশি।
রাজ্য বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (পিসিবি) এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দিনের বেলায় জ্বালানি পোড়ানো ও অন্যান্য কারণে বাতাসে দূষিত পর্দাথ মিশতে থাকে। কিন্তু যানবাহন চলাচল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধূলিকণাও বেশি তৈরি হতে থাকে। ফলে সকালের তুলনায় সন্ধ্যায় বায়ুদূষণ বেশি হয়। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর থেকেই শহরে বাতাসের মান খারাপ হতে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের সময় মাটির কাছাকাছি বায়ু একটি বৃহত্তর উচ্চতায় ওঠার জন্য যথেষ্ট উষ্ণ হয় না। ফলে দূষিত বায়ু ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছিই থেকে যায়। এ কারণেই শীতে বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে যায়।
ডিডি/এসএএইচ