চীনের জন্য তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করলো নাউরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০২ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
ছবি সংগৃহীত

চীনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করলো নাউরু। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চীনবিরোধী প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার দুদিন পরেই এই সিদ্ধান্ত জানালো ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশটি।

নাউরু সরকার বলেছে, তারা তাইওয়ানকে আর পৃথক দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না, বরং চীনা ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গণ্য করবে।

নাউরুর এই পদক্ষেপকে ‘তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক নির্বাচনের বিরুদ্ধে চীনের প্রতিশোধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে তাইওয়ানিজ কর্তৃপক্ষ। কয়েক বছর ধরেই দ্বীপটির সঙ্গে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বেইজিং।

আরও পড়ুন>> চীনের অপ্রিয় প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট বানিয়ে কি বিপদ ডাকলো তাইওয়ান?

নাউরু সম্পর্ক ছিন্ন করার ফলে আর মাত্র ১২টি দেশের সঙ্গে তাইওয়ানের কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকলো। এগুলোর মধ্যে রয়েছে গুয়াতেমালা, প্যারাগুয়ে, মার্শাল আইল্যান্ডস প্রভৃতি।

তাইওয়ানে গত শনিবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন চীনবিরোধী ও দ্বীপটির স্বাধীনতাকামী নেতা লাই চিং-তে। তাকে সমস্যা সৃষ্টিকারী এবং বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে মনে করে বেইজিং।

তাইপেইয়ের ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিয়েন চুং-কোয়াং নিশ্চিত করেছেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র নাউরু তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এবং বলেছে, ‘[তাইওয়ানের] সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য’ এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তাইওয়ানিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বলেছে, এটি শুধু আমাদের গণতান্ত্রিক নির্বাচনের বিরুদ্ধে চীনের প্রতিশোধ নয়, বরং আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ।

আরও পড়ুন>> তাইওয়ান ছেড়ে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক যাত্রা শুরু করলো হন্ডুরাস

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিয়েন দাবি করেছেন, নাউরুতে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ‘কিনে ফেলেছে’ চীন।

এদিকে, তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়ে নাউরুর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বেইজিং।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ফের শুরু করার জন্য নাউরু সরকারের সিদ্ধান্ত আবারও প্রমাণ করেছে যে, ‘এক চীন নীতি’ জনগণের ইচ্ছা এবং সময়ের প্রবণতা।

আরও পড়ুন>> চীনের কারণে আরও এক বন্ধু হারালো তাইওয়ান

তাইওয়ানের সঙ্গে নাউরু সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘটনা অবশ্য এটাই প্রথমবার নয়। ২০০২ সালেও দেশটি একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল। পরে ২০০৫ সালে আবারও তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে তারা।

এর আগে, গত বছরের মার্চে তাইওয়ানের সঙ্গে কয়েক দশকের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে মধ্য আমেরিকার দেশ হন্ডুরাস। তার আগে, ২০২১ সালে নিকারাগুয়া এবং ২০১৯ সালে কিরিবাতি ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জ তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেছিল।

সূত্র: বিবিসি
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।