এবার লোহিত সাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠালো ইরান

যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালিয়ে হুতি বিদ্রোহীদের তিনটি নৌকা ডুবিয়ে দেওয়ার পর লোহিত সাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে দিলো ইরান। সোমবার (১ জানুয়ারি) দেশটির যুদ্ধজাহাজ আলবোর্জ লোহিত সাগরে প্রবেশ করেছে। গত এক মাস ধরেই এই সাগরে হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব চলছে।

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর প্রথম মার্কিন পণ্যবাহী জাহাজে হামলা চালায় ইরানের মদতপুষ্ট ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। এরপর ওই রাস্তায় একাধিক জাহাজের উপর হামলা চালায় তারা। এর মধ্যে একটি ভারতমুখী জাহাজও ছিল। এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্রও পাল্টা হামলার পথ বেছে নেয়।

আরও পড়ুন: লোহিত সাগরে হুথিদের জাহাজে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ১০

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে বলছে, একাধিক দেশকে সঙ্গে নিয়ে ইরানবিরোধী একটি গোষ্ঠী তৈরি করার কাজ শুরু করেছে পেন্টাগন। যারা লোহিত সাগরে নজরদারি চালাবে ও হুতি বিদ্রোহীদের আক্রমণের হাত থেকে পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে রক্ষা করার চেষ্টা করবে। পেন্টাগনের এই ঘোষণার পরও হুতি বিদ্রোহীরা ইসায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জাহাজে হামলা অব্যাহত রেখেছে।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালিয়ে লোহিত সাগরে হুতি বিদ্রোহীদের তিনটি নৌকা ডুবিয়ে দিয়েছে তারা। এ হামলায় ১০ হুথি বিদ্রোহীর মৃত্যুও হয়েছে। মোট চারটি নৌকা ছিল। সেগুলো মধ্যে একটি নৌকা পালাতে পেরেছে।

আরও পড়ুন: মোসাদের হয়ে কাজ করায় আরও ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো ইরান

যুক্তরাষ্ট্র এই তথ্য প্রকাশ করার পরেই মূলত ইরান তাদের যুদ্ধজাহাজ লোহিত সাগরে পাঠালো। ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলো বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্য, এর ফলে ইরান সরাসরি এই সংঘাতে ঢুকে পড়লো।

এদিকে, যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারাও হুতি বিদ্রোহীদের হামলার বিরুদ্ধে সরাসরি অ্যাকশনে নামবে। কারণ হুথিদের ভয়ে পণ্যবাহী কোনো জাহাজ সুয়েজ খাল দিয়ে চলাচল করতে চাইছে না। আফ্রিকা ঘুরে কেপ অব গুড হোপ দিয়ে চলাচল করছে জাহাজগুলো। এর ফলে খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। আবার পণ্য পরিবহনেও সময় লাগছে অনেক বেশি।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

এসএএইচ