ইইউ’র নতুন অভিবাসন চুক্তি: যা জানা প্রয়োজন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অভিবাসন ও আশ্রয় সংক্রান্ত নতুন চুক্তিপ্রস্তাব গত ২০ ডিসেম্বর সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে। এতে অভিবাসন বিষয়ে জোটবদ্ধ উদ্যোগ বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হয়েছে।
এদিন অভিবাসন ও আশ্রয় সংক্রান্ত নতুন চুক্তির পাঁচটি আইনি ধারায় রাজনৈতিক সম্মতিতে পৌঁছেছে ইইউর সদস্য রাষ্ট্রগুলো।
আরও যেসব ধারার বিষয়ে এখনো একমত হওয়া বাকি, সেগুলো তৈরি ও অনুমোদনের জন্য আলোচনা চলবে। অধিবেশন শেষ হওয়ার আগেই এগুলো ইউরোপীয় কাউন্সিল এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্ট উভয়কে পাস করতে হবে।
স্ক্রিনিং পদ্ধতি ও দ্বিতীয় ধাপ
নতুন চুক্তি অনুসারে, ইইউ সীমান্তে আসার সাতদিনের মধ্যে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সেখানে তাদের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা পরীক্ষাও করা হবে।
ছয় বছর বা তার বেশি বয়সীদের বায়োমেট্রিক ফেসিয়াল ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডেটা ইইউর ইউরোড্যাক তথ্যব্যাংকে সংরক্ষণ করা হবে।
যারা সমুদ্রে উদ্ধার অভিযানের মাধ্যমে এসেছেন, তাদের আলাদাভাবে নিবন্ধিত করা হবে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট স্ক্রিনিং পদ্ধতির অধীনস্থদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রে একটি শক্তিশালী, স্বাধীন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে ফিল্টারিং। যেসব দেশ থেকে কম আশ্রয়ের আবেদন পড়েছে, তাদের জন্য একটি ফাস্ট ট্র্যাক পদ্ধতি চালু করা হবে, যাতে সবাই অন্তত আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য আবেদন করার সুযোগ পান। তাদের বিশেষ অভ্যর্থনা কেন্দ্রে রাখা হবে।
এই আবেদনগুলো তিন মাসের মধ্যে মঞ্জুর বা প্রত্যাখ্যান করতে হবে। যাদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হবে, তাদের তিন মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন করতে হবে।
এই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হবে শিশুসহ পরিবার এবং অভিভাবকহীন নাবালকদের, যদি তারা কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি না করে।
আপাতত প্রতি বছর ৩০ হাজার জনকে সেবা দেওয়া হবে। তবে কেন্দ্রগুলোর ১ লাখ ২০ হাজার জনের সেবা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে।
সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস
কেএএ/