রিজার্ভের আরো ৮ লাখ ডলার ফেরত দিলেন কিম অং
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় জড়িত ফিলিপাইনের কেসিনো জাঙ্কেট অপারেটর কিম অং দেশটির অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের (এএমএলসি) কাছে দ্বিতীয় দফায় আবারো অর্থ ফেরত দিয়েছেন। সোমবার চীনা এই ব্যবসায়ী তার আইনজীবীর মাধ্যমে ৩৮ দশমিক ২৮ মিলিয়ন ফিলিপিনো পেসো ( ৬ কোটি ৪৪ লাখ ৭১ হাজার টাকা) ফেরত দিয়েছেন।
ফিলিপাইনের প্রভাবশালী দৈনিক ইনকোয়ারারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এএমএলসির নির্বাহী পরিচালক জুলিয়া ব্যাকে-আবাদ ওই অর্থ ফেরতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সময় সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত ওই অর্থ হিসেব করা হয়। এ সময় অন্তত দুটি ভূয়া বিল পাওয়া গেছে বলে জুলিয়া জানান।
জুলিয়া ব্যাকে-আবাদ এবং অং এর আইনজীবী ভিক্টর ফার্নান্দেজ বলেন, এক হাজার ফিলিপিনো জাল মুদ্রা পাওয়া গেছে। এছাড়া অংয়ের ফেরত দেওয়া দ্বিতীয় দফার এই অর্থ ফিলিপিনো পাঁচশ ও এক হাজার পেসোর নোটে নেওয়া হয়েছে।
ভিক্টর ফার্নান্দেজ বলেন, ৩৮ দশমিক ২৮ মিলিয়ন ফিলিপিনো পেসো ইস্টার্ন হাওয়াই লেইসার করপোরেশন লিমিটেড এবং মিদাস ক্যাসিনোর গাও শুহুয়ার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তিনি বলেন, অংয়ের আরো কিছু অর্থ ফেরত দিতে ১৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগতে পারে।
এর আগে গত ৩১ মার্চ কিম অং দেশটির অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের (এএমএলসি) কাছে ৪৬ লাখ ডলার (২১১ দশমিক ৬ মিলিয়ন ফিলিপিনো পেসো) ফেরত দেন। ৩০ মার্চ ফিলিপাইন সিনেটের প্রেসিডেন্ট প্রো টেম্পর রালফ রেকটো বলেন, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ফিলিপাইনে পাচার হওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের মধ্যে মাত্র ৪০ ভাগ অর্থ (৩৪ মিলিয়ন) সরকার উদ্ধার করা সম্ভব।
এই অর্থ উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর হওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। এরপরেই প্রথম কিস্তিতে এই সামান্য অর্থ (৪৬ লাখ ডলার) এএমএলসির কাছে জমা দিয়েছিলেন ফিলিপিনো বংশোদ্ভূত ওই চীনা ব্যবসায়ী। পরে দ্বিতীয় দফায় আবারো বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি যাওয়া সামান্য অর্থ ফের দিলেন।
এসআইএস/আরআইপি