জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রীর শপথ


প্রকাশিত: ১০:১৪ এএম, ০৪ এপ্রিল ২০১৬

জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথম মুসলিম নারী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মেহবুবা মুফতি। সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) এই নেত্রীর সঙ্গে তার দলের সদস্যরাও শপথ নেন।

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের পর অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন পিডিপি-বিজেপি জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মুহম্মদ সাঈদের কন্যা মেহবুবা।  

জম্মুর রাজভবনে ওই শপথ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়-বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রাজ্যপাল এন এন ভোহরা নতুন সরকার গঠনে তাকে আমন্ত্রণ জানান। মুফতি মেহবুবা রাজ্যের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে মেহবুবার বাবা মুফতি মুহম্মদ সাঈদ মারা যান। মেহবুবার সঙ্গে বিজেপির সদস্যরাসহ তার দলের ২৩ মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। তবে পিডিপির জ্যেষ্ঠ নেতা ও সাংসদ তারিক কারা শপথ অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন। কারা ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেন, গত রাতে মেহবুবার সঙ্গে আমি বৈঠক করেছি। বৈঠকে মুফতি মুহম্মদ সাঈদের ব্যর্থতা কেটে উঠতে তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব চেয়েছিলাম।

এর আগে বাবার মৃত্যুর পর মুফতি-কন্যা মেহবুবা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে অস্বীকৃতি জানান। ওই সময় বিধানসভা না ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীরে রাজ্যপালের শাসন জারি করা হয়। এরপর থেকে রাজ্যে ব্যাপক অচলাবস্থা দেখা দেয়। নতুন মন্ত্রীসভায় দলের তিন সাংসদকে বহিষ্কারের আবেদন করেছিলেন কারা। কিন্তু মেহবুবা ওই তিন সাংসদের মধ্যে একজনকে রেখে জুনিয়র দুই সাংসদকে মন্ত্রীসভায় ঠাঁই দেন। আর এ কারণেই মন্ত্রীসভার শপথ অনুষ্ঠান বর্জন করেন কারা।

দীর্ঘ অচলাবস্থার পর গত সপ্তাহে মেহবুবা মুফতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পিডিপি-বিজেপি সরকার শপথ গ্রহণের বিষয়ে বৈঠকে বসেন।

২০১৪ সালে ৭০ আসনের রাজ্যসভার নির্বাচনে কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হতে পারেনি। দীর্ঘদিন ধরে কঠোর আলোচনার পর দুই দল পিডিপি (২৮ সাংসদ) ও বিজেপি (২৫ সাংসদ) জোট গঠন করে শপথ নিলো।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।