নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-সামরিক হেলিকপ্টার যুক্ত হলো ইরানের নৌবাহিনীতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩৩ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

ইরানের নৌবাহিনীতে নিজেদের তৈরি নতুন সামরিক সরঞ্জাম যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও সামরিক হেলিকপ্টার।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) ইরানের দক্ষিণ-পূর্ব বন্দর নগরীতে ইরানি সেনাবাহিনীর প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল আবদোলরহিম মুসাভি, ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানি এবং অন্যান্য সিনিয়র সামরিক ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে নৌবাহিনীকে নতুন অস্ত্র সরবরাহ করা হয়।

আরও পড়ুন>ভারত উপকূলে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা, ইরানকে দুষলো যুক্তরাষ্ট্র

জানা গেছে, এর মধ্যে তালায়েহ কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, নাসির ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও প্রথমবারের মতো দেশীয় ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থাসহ হেলিকপ্টার এবং পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে হালকা সামরিক হেলিকপ্টার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

আটটি লঞ্চারসহ সারফেস-টু-সার্ফেস মিসাইল সিস্টেম, জামারান ডেস্ট্রয়ারে বসানো সানজার স্মার্ট লোটারিং ও সুইসাইড ড্রোন, ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ার ও নজরদারি অপারেশনের জন্য ব্যবহৃত একটি বহুমুখী ড্রোন সিস্টেম, ডুবুরি সনাক্তকরণ ব্যবস্থা এবং বন্দরে ব্যবহৃত সিরভান টাগবোটও বাহিনীটিকে সরবরাহ করা হয়েছে।

এক হাজার কিলোমিটার রেঞ্জের তালায়েহ ক্ষেপণাস্ত্রকে স্মার্ট বলে অভিহিত করা হয়েছে, যা উড়ানের সময় গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে এবং আঘাত করার এবং ধ্বংস করার আগে একটি নতুন লক্ষ্য বেছে নিতে পারে।

এদিকে ভারতের গুজরাট উপকূলে একটি রাসায়নিকবাহী ট্যাংকারে যে ড্রোন হামলা হয়েছে, সেটি ইরান থেকে ছোড়া হয়েছিল বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘটনা লোহিত সাগরের বাইরেও বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে ঝুঁকি বাড়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে তারা।

গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে গুজরাট উপকূলে জাপানি মালিকানাধীন একটি বাণিজ্যিক জাহাজে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে জাহাজটিতে আগুন ধরে গেলেও তা দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

সূত্র: প্রেসটিভি

এমএসএম

 

 

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।