অবশেষে নিরাপত্তা পরিষদে ‘গাজা প্রস্তাব’ পাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১২ এএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
ছবি: রয়টার্স

যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ‘গাজা প্রস্তাব’ পাস হয়েছে। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) প্রস্তাবটি পাস হয়। প্রস্তাবের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদের মোট ১৫ দেশের মধ্যে ১৩টি ভোট দিলেও যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল। খবর: আল-জাজিরার।

এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি তোলে সদস্য দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। প্রথমে এতে ‘অবিলম্বে লড়াই বন্ধের’ আহ্বানের কথা বলা হয়েছিল। তবে গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে প্রস্তাবের ভাষায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।

অবশেষে শুক্রবার পাস হওয়া প্রস্তাবে ‘লড়াই বন্ধের আহ্বান’ কথা এড়িয়ে ‘লড়াই বন্ধে উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরির’ আহ্বান জানানো হয়েছে।

অনেক নাটকীয়তার পর পাস হওয়া প্রস্তাবে ১৩ সদস্য ভোট দিলেও বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। তবে পাস হওয়ার পর জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন।

অন্যদিকে এর কড়া সমালোচনা করেছেন নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য রাশিয়া। প্রস্তাবের ভাষা নিয়েও আপত্তি তুলেছে দেশটি।

আরও পড়ুন>> গাজায় ৮ হাজার শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, এই প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে বলা হয়নি। পরিবর্তে এর মাধ্যমে গাজা উপত্যকায় আরও নির্মমতা চলাতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে সেখানে প্রতিদিনই শত শত নিরীহ ফিলিস্তিনির ওপর বর্বর হামলা চালানো হচ্ছে। হামলায় এ পর্যন্ত উপত্যকাটিতে ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে আট হাজার শিশু ও ছয় হাজার ২০০ জন নারী। এছাড়া খাবার, পানি ও জ্বালানির অভাবে চরম দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন গাজার বাসিন্দারা।

ইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।