গাজায় ৮ হাজার শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৮ হাজার শিশু নিহত হয়েছে। ১০ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। সেখানকার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে কমপক্ষে ৮ হাজার শিশু এবং ৬ হাজার ২০০ জন নারী।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে সেখানে প্রতিদিনই শত শত নিরীহ ফিলিস্তিনির ওপর বর্বর হামলা চালানো হচ্ছে।
সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আঞ্চলিক পরিচালক রিচার্ড ব্রেনান বলেছেন, তিনি গাজার হতাহতের পরিসংখ্যানকে বিশ্বাসযোগ্য বলেই মনে করেন।
যুদ্ধক্ষেত্রে নিহতদের সঠিক সংখ্যা গণনা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গাজার চিকিৎসকরা বলছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকেই চাপা পড়ে থাকতে পারেন বা অনেক মৃতদেহই হাসপাতালে নেওয়া হয়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে বুধবার গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, তারা ২৪ ঘণ্টায় হামাসের তিন শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে, তারা সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে এসব হামলা চালিয়েছে। যদিও এসব হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি সাধারণ নাগরিক।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার ২২ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় এক শতাংশই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী এবং শিশু। এছাড়া ৩১০ জন চিকিৎসা কর্মী, ৩৫ জন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী এবং ৯৭ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছে বলেও জানানো হয়। সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
টিটিএন