গাজা

হাসপাতাল যেন বন্দি শিবির, রোগীসহ ২৪০ জনকে আটক করেছে ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৯ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

গাজার একটি হাসপাতালকে সামরিক ব্যারাক বানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানকার লোকজনকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। গাজার উত্তরাঞ্চলের আল আওদা হাসপাতালের পরিস্থিতি সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য দিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদ্রা।

আরও পড়ুন: হন্যে হয়ে নবজাতকদের খাবার খুঁজছেন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা

তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী ওই হাসপাতালকে সামরিক ব্যারাকে পরিণত করেছে। তারা ২৪০ জনকে আটক করেছে। এর মধ্যে ৮০ জন মেডিকেল স্টাফ, ৪০ জন রোগী এবং ১২০ জন বাস্ত্যুচুত ফিলিস্তিনি নাগরিক। ওই হাসপাতালের পরিচালক আহমেদ মুহান্নাসহ ৬ জন স্টাফকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেখানে খাবার, পানি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য তীব্র হাহাকার চলছে। এর মধ্যেই সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুদের জন্য যেন এই সংকট আরও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। পৃথিবীর আলো দেখতে না দেখতেই যুদ্ধের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যেই যেসব শিশুর জন্ম হচ্ছে তাদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্বজনরা। এসব নবজাতক শিশুর খাবারের ব্যবস্থা করতে রীতিমত পরিবারগুলোকে লড়াই করতে হচ্ছে। ক্রমাগত বোমাবর্ষণের কারণে সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অর্ধেকের বেশি মানুষই তীব্র খাদ্য সংকটে দিন কাটাচ্ছে।

এর আগে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল যে, গাজার অর্ধেকের বেশি মানুষই এখন মাত্র এক বেলা কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে।

আরও পড়ুন: উচ্ছিষ্ট খাবার দিয়ে সাদা কাপড়ে লিখে সাহায্য চেয়েছিল জিম্মিরা

সেখানে নবজাতক শিশুদের জন্য ডায়াপার বা দুধের দাম এখন আকাশছোঁয়া। ফলে পরিবারগুলো এই শিশুদের প্রয়োজন মেটাতে হিমসিম খাচ্ছে। পানির সংকটের কারণে শিশুদের পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিও নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এসব শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বাড়ছে।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।