ভারতের কেরালায় ফের বাড়ছে করোনা, একদিনেই ৪ মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৬ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এর জন্য জনগণকে সতর্ক থাকতে বললেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।

সম্প্রতি কেরালায় করোনাভাইরাসের একটি উপ-ধরন (সাব-ভ্যারিয়েন্ট) জেএন.১ শনাক্ত হয়েছে। এরপর থেকেই রাজ্যটিতে দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশে শনাক্ত হয়েছিল জেএন.১।

আরও পড়ুন>> চীনে এবার ‘রহস্যময়’ নিউমোনিয়া, কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, করোনাপ্রতিরোধী অনুমোদিত সব টিকাই জেএন.১-এর বিরুদ্ধেও সুরক্ষা দেবে।

কেরালায় বর্তমানে ১ হাজার ৩২৪ জন কোভিড-১৯ রোগী রয়েছেন। গত শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজ্যটিতে করোনাজনিত কারণে অন্তত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

তবে এগুলোর মধ্যে ঠিক কতটি ঘটনা জেএন.১ সম্পর্কিত, তা নিশ্চিত নয়। ভাইরাসটির বিভিন্ন ধরন শনাক্তের জন্য একেবারেই সামান্য কিছু নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করা হয় সেখানে।

আরও পড়ুন>> মালয়েশিয়ায় ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ বলেছেন, এর জন্য উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি মাসের শুরুর দিকে কেরালায় একটি নমুনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় জেএন.১ উপ-ধরন শনাক্ত হয়। রোগী ছিলেন ৭৯ বছর বয়সী এক নারী। তার ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় অসুস্থতা ছিল এবং পরে তিনি সুস্থও হয়ে ওঠেন।

করোনার এই উপ-ধরনটি আগেই ভারতের অন্যান্য রাজ্যে পাওয়া গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন বীনা জর্জ।

আরও পড়ুন>> ফের করোনায় আক্রান্ত মার্কিন ফার্স্টলেডি

প্রতিবেশী কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ুর কর্তৃপক্ষগুলো জানিয়েছে, কেরালায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ঘটনায় তারা সতর্ক নজর রাখছে।

হঠাৎ করোনার সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে তা মোকাবিলায় প্রস্তুতি পরীক্ষায় বিভিন্ন হাসপাতালে মহড়া শুরু করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে এর সঙ্গে জেএন.১ উপ-ধরনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে তারা।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।