কলকাতায় অনুষ্ঠিত হলো ইন্দো-বাংলা নোয়াখালী উৎসব

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:৩৬ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

অডিও শুনুন

কলকাতায় বসবাসকারী নোয়াখালীর মানুষের মুখে তৃপ্তির হাসি। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সল্টলেকের পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো ইন্দো-বাংলা নোয়াখালী উৎসব। বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৫০ জন প্রতিনিধি এই উৎসবে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, অধ্যাপক মনোজ রায় ভৌমিক, সাংবাদিক তরুণ চক্রবর্তী, সুকান্ত সাহা, ডা. অর্চনা মজুমদার, ধিরাজ মোহন চন্দ্রসহ দুই বাংলার বিশিষ্টজনেরা।

প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসবের শুভসূচনা করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। দুই দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর অতীতের স্মৃতিতে নোয়াখালীর কৃতি সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

স্বপন দেবনাথ বলেন, আমার জন্ম বাংলাদেশে। মামাবাড়ি নোয়াখালীতে। সে কারণেই নোয়াখালী লোকদের সঙ্গে আমার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্মেলনে দুই বাংলার মানুষ এসেছেন। আমাদের এই সংগঠন সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। কে হিন্দু, কে মুসলিম- তাদের মধ্যে কোনো ফারাক নেই। আমাদের এই মঞ্চে থেকে এই বার্তা দিতে চাই।

jagonews24

অনুষ্ঠানে উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, এপার বাংলা ও ওপার বাংলার নোয়াখালীর বাসিন্দাদের নিয়ে আজকের এই অনুষ্ঠান। এর মাধ্যমে নোয়াখালীর বাসিন্দারা হাতে হাত রেখে একসঙ্গে এগিয়ে যাবেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর বাসিন্দা ফরিদ আহমেদ বাঙালি। তিনি বলেন, ভালোবাসা ও হৃদয়ের টানে শিকড়ের সন্ধানে আমরা কলকাতায় এসেছি। আজকের এই অনুষ্ঠান যারা আয়োজন করেছেন তারা সবাই নোয়াখালীর ভূমিপুত্র। এদের কারও জন্ম এখানে হলেও তাদের পূর্বপুরুষের জন্ম বাংলাদেশের নোয়াখালীতে। তাদের রেখে যাওয়া স্কুল, কলেজ, মাঠ ব্যবহার করে আমরা জ্ঞান অর্জন করছি। তাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা কম নেই। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন কমিউনিটির প্রধানরা এই অনুষ্ঠানে এসেছেন। আমরা আপন মানুষদের কাছে এসেছি। আজকে হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয় দিয়ে মন খুলে কথা বলবো।

আগামী দিনে এই উৎসব বাংলাদেশেও হবে বলে ঘোষণা দেন প্রধান উদ্যোক্তা সাংবাদিক ও সমাজসেবক রক্তিম দাশ।

ডিডি/কেএএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।