গোয়েন্দাদের ঘুসপ্রদান
স্পেনে মার্কিন দূতাবাসের দুই কর্মী বহিষ্কার: রিপোর্ট
স্প্যানিশ গোয়েন্দাদের ঘুস দেওয়ার অভিযোগে মার্কিন দূতাবাসের দুই কর্মীকে বহিষ্কার করেছে স্পেন। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) স্প্যানিশ পত্রিকা এল পাইসের এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো দেশের পক্ষ থেকেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র ও স্পেন দীর্ঘদিনের মিত্র এবং উভয় দেশই একে অপরের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি করে থাকে।
বহিষ্কৃত দূতাবাস কর্মকর্তাদের নাম বা পদ উল্লেখ করেনি এল পাইস। পত্রিকাটি জানিয়েছে, মাদ্রিদের অনুরোধে নীরবে ওই দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, তদন্ত চলাকালে দুই স্প্যানিশ গোয়েন্দা কর্মকর্তা মোটা অংকের ঘুস নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি সূত্রের বরাতে পত্রিকাটি জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে দুইজনের বেশি মার্কিন ‘গুপ্তচর’ জড়িত থাকতে পারে।
খবরে বলা হয়েছে, দুই মাস আগে স্প্যানিশ গোয়েন্দা সংস্থার (সিএনআই) দুই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন একটি গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান এবং আরেকজন তার সহকারী। তবে এই ঘটনা আদালতের নির্দেশে গোপন রাখা হয়।
এরপর মার্কিন রাষ্ট্রদূত জুলিসা রেনোসোকে তলব করে স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ। তবে ঘুসের ঘটনাটি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন এবং এর জন্য ক্ষমা চান।
পরবর্তীতে মার্কিন দূতাবাসের দুই কর্মকর্তাকে স্পেন ছাড়ার নির্দেশ দেয় দেশটির প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই অনুসারে অভিযুক্ত দুজনকে গোপনে প্রত্যাহার করে নেয় ওয়াশিংটন।
এই বিষয়ে স্পেনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। স্প্যানিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং শীর্ষ আদালতের মুখপাত্ররাও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। আর সিএনআই এবং স্প্যানিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
এল পাইস বলেছে, নিজ দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য স্বাগতিক দেশে গোপন এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া প্রকাশ্য শত্রুতামূলক কাজ। এটি শত্রুভাবাপন্ন সরকারগুলোর সঙ্গে করা হলেও বন্ধু বা মিত্রদের সঙ্গে কখনোই করা হয় না। সুতরাং বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর।
কেএএ/