পশ্চিমবঙ্গে একটানা বৃষ্টি, মাথায় হাত কৃষকদের

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:২১ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী শহরগুলোতে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাত থেকে শুরু হয়েছে একটানা বৃষ্টি। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বইছে হিমেল হাওয়া।

কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে। তবে এই ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে ছত্তিশগড়ের ওপর। এর প্রভাবেই টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়।

আরও পড়ুন>> দীপাবলির রাত পেরোতেই বায়ুদূষণের শীর্ষ তালিকায় কলকাতা

যদিও আবহাওয়ার খামখেয়ালিতে এবার মৌসুমের শুরুতে সেভাবে জাঁকিয়ে বসেনি শীত। তবে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে কয়েকদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ায় বেশ বদল এসেছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার থেকে এ অঞ্চলে আবহাওয়ার বিরাট পরিবর্তন চোখে পড়তে পারে। এদিন থেকেই কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের কিছু জেলায় শীতের দাপট বাড়তে পারে।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলবে। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর, ঝারগ্রাম, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়ার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে চলবে বৃষ্টি।

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশি পর্যটক টানতে কলকাতায় তোড়জোড়, বসলো সিসি ক্যামেরা

এদিন কলকাতার তাপমাত্রা ২০থেকে ২৪ ডিগ্ৰি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে। ফলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ শীত অনুভব করতে শুরু করবে।

বড় ক্ষতি কৃষকদের
এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে পশ্চিমবঙ্গে কৃষকদের মাথায় হাত। এখন মূলত পাকা ধান ঘরে তোলার সময়। এই সময় ধানের পাশাপাশি চাষ হয় আলুও। কিন্তু অগ্রহায়ণ মাসে আবহাওয়ার এই হেয়ালিপনায় কৃষিতে ডেকে আনছে সর্বনাশ। রাজ্যজুড়ে অসময়ে বৃষ্টির জেরে পাকা ধানের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমন ক্ষেত ভেজা থাকায় আলু চাষও হুমকির মুখে পড়েছে।

টানা বৃষ্টিতে ক্ষেতের আলু পচে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তারা আলুসহ অন্যান্য সবজির জমিতে নালা কেটে বৃষ্টি পানি বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

ডিডি/কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।