যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আর কোনো বন্দিবিনিময় নয়: হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩৬ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
হামাসের রাজনৈতিক শাখার উপ প্রধান সালেহ আল-আরুরি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে ইসরায়েলের গণহত্যা পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তেল আবিবের সঙ্গে আর কোনো বন্দিবিনিময় করবে না হামাস। ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক শাখার উপ-প্রধান সালেহ আল-আরুরি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

তিনি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এই মুহূর্তে বন্দিবিনিময় নিয়ে আর কোনো আলোচনা হচ্ছে না। হামাসসহ সব প্রতিরোধ আন্দেলন এখন এই বিষয়ে একমত যে, গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের তাণ্ডব পুরোপুরি ও চূড়ান্তভাবে বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আর কোনো বন্দি বিনিময় হবে না।

আরও পড়ুন>গাজায় ৫২ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই, বোমা হামলা অব্যাহত

গাজায় ফের যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করে হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্ত করে নেওয়ার লক্ষে কাতারে এক সপ্তাহ আগে মোসাদের একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল ইসরায়েল সরকার। আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দেওয়ায় গতরাতে যখন দলটিকে তেল আবিবে ডেকে নেওয়া হয় তখন সালেহ আল-আরুরি এই প্রত্যয় জানালেন।

তিনি বলেন, দখলদার ইসরায়েল ভেবেছিল গাজায় আগ্রাসন শুরু করলে আমরা ভয় পেয়ে বন্দিদের ছেড়ে দিতে শুরু করবো। কিন্তু আমাদের আনুষ্ঠানিক অবস্থান হচ্ছে, বাকি বন্দিদের নিয়ে আলোচনা হবে যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পর। এ পর্যন্ত যাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে তারা বেসামরিক নাগরিক ছিল বলে জানান আরুরি।

তিনি বলেন, এখন যারা আমাদের হাতে বন্দি আছে তার হয় ইসরায়েলি সেনা সদস্য অথবা সাবেক সেনা। কাজেই তাদের সম্পূর্ণ নতুন শর্তে মুক্ত করবে হামাস।

এই হামাস নেতা বলেন, আমরা প্রথম দিন থেকে বলে এসেছি, আমাদের হাতে আটক ইসরায়েলি বন্দিদের ফেরত নিতে হলে সব ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে।

তিনি বলেন, ইসরায়েল যদি মনে করে শক্তি দেখিয়ে তারা আমাদের ওপর তাদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারবে তাহলে তারা মারাত্মক বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। তিনি এ বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন দখলদার সেনারা গাজা উপত্যকার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।

সূত্র: প্রেসটিভি, পার্সটুডে

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।