এবার পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু
এবার পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন তিনি। সম্প্রতি বিজেপির এক নেতার গ্ৰেফতারের ঘটনায় থানায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। থানায় ঢুকে পুলিশকে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানায়। জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর খেজুরির বাঁশগোড়ায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাতে খেজুরির বাঁশগোড়ার মন্ডল কমিটির সম্পাদক রবীন মান্নাকে গ্ৰেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ডিপফেকের শিকার এবার পশ্চিমবঙ্গের তরুণী
তাকে মারিশ থানায় রাখা হয়। রবীন মান্নার বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশ সাদা পোশাকে তাকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে আসে। রাতে গ্ৰেফতার হলেও রবীন মান্নার বাড়ির লোকজন কয়েক ঘণ্টা তার কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না।
পরে খেজুরি জেলা কমিটির মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয় বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী সঙ্গে। এরপর খবর পেয়ে রাতেই মারিশদা থানায় পৌঁছে যান তিনি।
থানায় পৌঁছে পুলিশের সঙ্গে তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ের শুভেন্দু। মারিশদা থানার পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রবিন মান্নাকে পুলিশ অপহরণ করেছে। রবিন মান্নাকে লকআপে রাখা হয়েছে কি না পুলিশের কাছে তা জানতে চাই।। তার নামে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে কি না দেখতে চাই। কিন্তু পুলিশ আমাকে তা দেখাতে অস্বীকার করে। এর বিরুদ্ধে আমরা রবিন মান্নার স্ত্রীকে দিয়ে আদালতে পুলিশের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করব।
আরও পড়ুন: মমতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেন শুভেন্দু
আগামী সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গোটা খেজুরি এলাকায় বন্ধের ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব কিছু সেদিন বন্ধ থাকবে। এর আগে শনিবার রাতে প্রায় আধঘন্টা থানায় ধর্নায় বসে ছিলেন বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ডিডি/টিটিএন