যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:১৯ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০২৩
চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে জিম্মি করা ৫০ জন নারী-শিশুকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনি নারী-শিশুকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। এর মধ্যে ৩৯ ফিলিস্তিনি বন্দির প্রথম দলকে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
শুরু থেকেই এই যুদ্ধে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করে আসা কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা) দিকে নিজেদের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্য থেকে ১৩ নারী-শিশুকে মুক্তি দেবে হামাস। আশা করা হচ্ছে, কাছাকাছি সময়ে কারাবন্দি ফিলিস্তিনিদের একাংশকেও মুক্তি দেবে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যে ৩৯ জন করাবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে, তাদের সবাইকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর হাইফার ডেমন ও মেগিডো থেকে বাছাই করা করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের কমিশনার অব প্রিজনার্স কাদারা ফারেস আল জাজিরাকে বলেছেন, প্রথমে এই ৩৯ জনকে জেরুজালেমে আনা হবে। সেখানে রেড ক্রস ও রেডক্রিসেন্ট প্রতিনিধিদের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হবে। সেখান থেকে গাজাবাসীরা যে যার ঠিকানায় চলে যাবেন।
আর মুক্তি পাওয়া বন্দিদের মধ্যে যারা পশ্চিম তীরের বাসিন্দা থাকবেন, তাদের বেইতুনিয়া ক্রসিংয়ে পৌঁছে দেওয়া হবে। সেখান থেকে তারা নিজ নিজ গ্রাম বা শহরে ফিরে যেতে পারবেন। পুরো প্রক্রিয়াটিই রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট প্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধানে হবে।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে ইসরায়েলি জিম্মিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনের কারাবন্দিদের মুক্তির শর্ত রেখেছিল হামাস। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যুদ্ধবিরতির চার দিনে নিজেদের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে থেকে ৪০ জনকে মুক্তি দেবে তারা। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৫০ জনকে ছেড়ে দিতে হবে।
গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তবেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে তারা। পরে সেখানে হামলা চালানোর পাশাপাশি ২৪১ জন মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলি নাগরিকের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিক রয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলি অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪ হাজার। অন্যদিকে, একই দিনে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন।
সূত্র: আলজাজিরা
এসএএইচ