ইসরায়েল-হামাস চুক্তিতে বাইডেনের লাভ হলো না ক্ষতি?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:২৫ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

নির্বাচনের আগে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। তবে লড়াইরত দু’পক্ষকে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়ে তা থেকে ফায়দা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে তার। এ কারণে কাতার ও মিশরের সহযোগিতায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে গেছে বাইডেন প্রশাসন।

অবশেষে চারদিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজিও হয়েছে ইসরায়েল-হামাস। শর্ত হিসেবে ৫০ জিম্মিকে ফিরিয়ে দেবে হামাস। বিনিময়ে ১৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।

আরও পড়ুন>> ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ/ দু’পক্ষের কাছে চিঠিতে বাইডেনের দু’রকম কথা

তবে দীর্ঘপ্রতীক্ষিত এই যুদ্ধবিরতি ক্ষণস্থায়ী হতে চলেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহী নন। বাইডেনও তার জন্য চাপ দিচ্ছেন না। এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই।

২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর বেশি দিন বাকি নেই। এমন সময় বাইডেনের জনসমর্থনের রেটিং একেবারে তলানিতে নেমে গেছে। ইসরায়েলের প্রতি কট্টর সমর্থনের জন্য তরুণ ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা কমে যাওয়া এর আংশিক কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন>> মুসলিমদের ভোট হারাতে পারেন বাইডেন, ঝুঁকিতে পুনর্নির্বাচন

এরপরও, ইসরায়েল-হামাস চুক্তির কৃতিত্ব নিতে দেরি করেনি বাইডেনের দল। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘অক্লান্ত কূটনীতি ও নিরলস প্রচেষ্টা’র ফল ছিল এই চুক্তি।

চাপের মুখে বাইডেন
সমালোচকদের দাবি, এই সংঘাত থামাতে যুক্তরাষ্ট্র তার ক্ষমতার যথাযথ ব্যবহার করেনি। ‘উইন উইদাউট ওয়ার’ নামে একটি যুদ্ধবিরোধী সংগঠন বলছে, ইসরায়েল-হামাস চুক্তি দেখিয়ে দিয়েছে, ‘ফলপ্রসূ কূটনীতি সম্ভব এবং আন্তর্জাতিক ও তৃণমূল পর্যায়ের চাপেও কাজ হতে পারে’।

আরও পড়ুন>> গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা/ যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলা

সংগঠনটির নেতা সারা হাগদুস্তি এবং স্টিফেন মাইলস এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা মার্কিন প্রশাসনকে একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং এই ভয়ংকর সংঘাতের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল শক্তি ও প্রভাবকে কাজে লাগানোর অনুরোধ করছি।

এর আগে, গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বাইডেনের সমালোচনা করেন তারই দলের সিনেটর ডিক ডারবিন। চুক্তির প্রাক্কালে ১২ সহকর্মীর সঙ্গে তিনি গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর দাবিতে একটি চিঠি দিয়েছেন।

ডেমোক্র্যাট সিনেটর লিখেছেন, গাজায় দীর্ঘায়িত দুর্ভোগ শুধু ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জন্যই অসহনীয় নয়, বরং তা বিদ্যমান উত্তেজনা আরও বাড়াবে এবং আঞ্চলিক সম্পর্ক নষ্ট করে ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিদের নিরাপত্তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমরা এ নিয়ে উদ্বিগ্ন।

সূত্র: এএফপি, এনডিটিভি
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।